আনোয়ার হোসেন
বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি
রাঙ্গামাটি বাঘাইছড়ির ৩৭নং আমতলী ইউনিয়ন ও লংগদু উপজেলার ০২নং কালাপাকুজ্যা ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে জশনে জুলুস ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন হয়েছে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আমতলী ইউনিয়ন এবং কালাপাকুজ্যা ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য জশনে জুলুস কালাপাকুজ্যা শিবির বাজার থেকে শুরু হয়ে মাহিল্যা বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক পথ প্রদক্ষিণ করে এবং জুলুস শেষে মাহিল্যা মুক্ত মঞ্চে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত আলোচনা সভায় জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক এবং রসুলপুর সুন্নিয়া জামে মসজিদের খতিব হযরত মাওলানা হায়দার আলী জালালী’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাসান্যাদম গাউসিয়া তৈয়বিয়া তাহেরিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত বাংলাদেশ লংগদু উপজেলার সভাপতি হযরত মাওলানা ওমর ফারুক আল-কাদেরী।
এতে বিশেষ অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাঘাইহাট নার্সাপাড়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা হাবিবুর রহমান আল-কাদেরী, উগলছড়ি দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা সাইফুল ইসলাম সাদ্দাম, বটতলী মোহাম্মদীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হাফেজ মাওলানা আহমদ আলী ও মাওলানা ইকবাল হোসেন আল-কাদেরী সহ বিভিন্ন মসজিদের খতিব, মাদ্রাসার শিক্ষক ও শত শত মুসলিম জনতাবৃন্দ।
উক্ত আলোচনা সভায় মাহিল্যা হোসাইনী তরুণ সংঘের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন রাব্বি’র সঞ্চালনায় উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন হাফেজ মাওলানা আহমদ মুছা আল কাদেরী, গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ লংগদু উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সামছুল আল।
এসময় বক্তারা বলেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন মানবতার মুক্তিদাতা। তাঁর আগমনেই অন্ধকার যুগে আলোর দিশা এসেছে। তিনি মানুষকে একত্ববাদের শিক্ষা দিয়েছেন, অন্যায়-অত্যাচার ও কুসংস্কার থেকে মুক্ত করেছেন। বক্তারা আরও বলেন, নবীজীর আদর্শ অনুসরণ করলেই পৃথিবীতে শান্তি, ন্যায়বিচার ও মানবিকতা প্রতিষ্ঠা সম্ভব। তাই আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁর শিক্ষা অনুসরণ করতে হবে।
অনুষ্ঠান শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন রসুলপুর সুন্নিয়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা হায়দার আলী জালালী।
Leave a Reply