
মোঃ মনিরুল ইসলাম রিয়াদ
স্টাফ রিপোর্টার
বোয়ালখালীতে স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন গ্রেপ্তারের পর ছাত্র জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সংঘটিত সহিংসতা নিয়ে নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে আন্দোলনের দিন তার উপস্থিতি ছিল কি না, হামলার পরিকল্পনায় তিনি জড়িত ছিলেন কি না এবং ঘটনার পেছনে আরও কারা সংশ্লিষ্ট ছিলেন।
পুলিশ সূত্র জানায় ছাত্র জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় বোয়ালখালীতে একাধিক স্থানে সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটে। এতে আন্দোলনকারীদের কয়েকজন আহত হন এবং এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পর ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার তদন্তে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের পর মো. সাদ্দাম হোসেনকে এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে শনাক্ত করা হয়।
বোয়ালখালী থানার দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায় ঘটনার দিনকার ভিডিও ফুটেজ, প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য এবং মোবাইল ফোনের যোগাযোগ বিশ্লেষণ করে তদন্ত এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এসব তথ্যের ভিত্তিতেই অভিযানে গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তদন্তের স্বার্থে এখনই সব তথ্য প্রকাশ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেছেন আন্দোলনের দিন একটি দল সংগঠিতভাবে ছাত্র জনতার ওপর চড়াও হয়। ওই সময় কিছু পরিচিত রাজনৈতিক কর্মীকেও ঘটনাস্থলে দেখা গেছে বলে তারা জানান। তবে তারা নাম প্রকাশে অনিচ্ছা জানিয়েছেন।
রাজনৈতিক অঙ্গনেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। কেউ কেউ বলছেন এটি শুধু একজন ব্যক্তির ভূমিকার বিষয় নয় বরং ঘটনার পেছনে সংগঠিত কোনো গোষ্ঠীর সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। তদন্তে সেই দিকটিও গুরুত্ব দিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে মত স্থানীয় সচেতন মহলের।
এদিকে গ্রেপ্তারকৃত মো. সাদ্দাম হোসেনকে আদালতে সোপর্দ করার পর মামলার তদন্ত আরও জোরদার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে প্রয়োজনে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। একই সঙ্গে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ছাত্র জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন আন্দোলন সংশ্লিষ্টরা। তাদের বক্তব্য দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের সহিংসতা বন্ধ হবে না।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাউকে নির্দোষ বা দোষী হিসেবে চূড়ান্তভাবে বিবেচনা করা যাচ্ছে না। প্রাপ্ত প্রমাণ ও সাক্ষ্যের ভিত্তিতেই পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply