মোঃ শেখ ফরিদ মিরসরাই ।
৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) ৩৬ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের, প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন যুবদলের উদ্যোগে মিরসরাই উপজেলা ও, ৭ নং কাটাছরা ইউনিয়নসহ বিভিন্নস্থানে স্মরণকালের অন্যতম বৃহৎ গণমিছিলের আয়োজন করেছে।
উপজেলার ৭ নং কাটাছরা ইউনিয়ন বিএনপি ও যুবদলের আয়োজনে অনুষ্ঠিত গণমিছিলটি উপজেলা সদর থেকে শুরু হয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলার কেন্দ্রস্থলে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন সাইফুল ইসলাম হৃদয় আহবায়ক তারেক রহমান যুব পরিষদ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা, ও তানভীরুল ইসলাম শোভন সদস্য তারেক রহমান যুব পরিষদ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা।
গণমিছিলে বিশেষভাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপি ও যুবদলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পর্যায়ের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশে এক শ্রেণির লোক চাঁদাবাজি করছে। এসব চাঁদাবাজদের জনগণ পরবর্তী নির্বাচনে প্রত্যাখ্যান করবে।
তারা আরও বলেন, জুলাই আন্দোলনের মূল দাবি ছিল একটি ন্যায়ভিত্তিক, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠন। আজও সেই দাবি বাস্তবায়িত হয়নি। বিএনপির আদর্শ ছাড়া দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র কল্পনাও করা যায় না।বিএনপি কোনো ব্যক্তিগত ক্ষমতা নয়, জনগণের সেবক হয়ে রাষ্ট্রের সর্বজনীন অধিকার নিশ্চিত করতে চায়।
বক্তারা দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, দুর্নীতি, গুম-খুন ও দমনপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে বলেন, আমরা কারও রক্তচক্ষুকে ভয় পাই না, এসময় বক্তারা বলেন চট্টগ্রাম -১ আসনে এমপি হিসেবে দেখতে চায় নুরুল আমিন চেয়ারম্যানকে। মিরসরাইয়ে তৃণমূল,দলীয় শৃঙ্খলা ও ঐক্যের বার্তা দিলেন বক্তারা।
চট্টগ্রাম -১ আসনের জাতীয়তাবাদী শক্তিকে সংগঠিত, শৃঙ্খলিত ও দায়িত্বশীল রাখার লক্ষ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বার্তা দিয়েছেন জাতীয়তাবাদী পরিবারের দায়বদ্ধ কর্মীরা এই বক্তারা। বলেন, আমরা এখন নেতৃত্ব নির্ধারণের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। এই সময়ে দায়িত্বহীন প্রচারণা নয়, প্রয়োজন ঐক্য, শৃঙ্খলা ও ধৈর্য।
এই বার্তায় বক্তারা স্পষ্টভাবে তুলে ধরেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিকনির্দেশনাই সকল সিদ্ধান্তের মূল ভিত্তি হওয়া উচিত। তারা স্মরণ করিয়ে দেন।
অন্যায়ের প্রতিবাদ করো, সত্য বলো, ন্যায়ের পথে থেকো, ঐক্যবদ্ধ থেকো। এই নীতিই বর্তমান সময়ের রাজনৈতিক বিভ্রান্তি ও আত্মপ্রচারের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ হতে পারে বলে মনে করেন তারা ।
নুরুল আমিন চেয়ারম্যান তৃণমূলের প্রত্যাশার প্রতীক, তারাব আরও বলেন , দলীয় নেতৃত্ব নির্ধারণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত থাকবে কেন্দ্রীয় হাইকমান্ডের হাতে, তবে একথা অনস্বীকার্য যে চট্টগ্রাম -১ আসনে বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষের কণ্ঠে একটি নামই আজ প্রতিধ্বনিত হচ্ছে নুরুল আমিন চেয়ারম্যান।
বক্তারা যুক্ত করেন, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান কেবল একটি নাম নয়, এটি একটি আস্থার প্রতীক। তিনি দায়িত্ব, শৃঙ্খলা, আদর্শ ও মাঠের রাজনীতিতে নিবেদিত একজন নেতা। তাঁর প্রতি মানুষের এই ভালোবাসা এবং সমর্থন নৈতিক রাজনীতিরই প্রতিচ্ছবি।
ভ্রান্ত প্রচারনা ও পদলোভীদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি।
বক্তারা বলেন, কিছু ব্যক্তি নিজের নামের সঙ্গে ইনশাআল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লাগিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছেন। এটি রাজনৈতিক অনুশাসন ও আদর্শের পরিপন্থী। এমন প্রবণতা আমাদের সংগঠনের শৃঙ্খলা নষ্ট করে এবং দলের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ করে।
তৃণমূল কর্মীরা বলেন, নিজেকে প্রার্থী না বানিয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে দলীয় সিদ্ধান্তে আস্থা রাখতে হবে ভ্রান্ত প্রচারণা ও বিভ্রান্তি থেকে বিরত থাকতে হবে,দায়িত্বের রাজনীতি চাই, ব্যক্তিক প্রচারণা নয়। তৃণমূল কর্মীরা সতর্ক করেন, যদি কাদা ছোড়াছুড়ি ও আত্মপ্রচারের রাজনীতি থামানো না যায়, তবে চট্টগ্রাম -১ আসনে বিএনপির সংগঠন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নেতৃত্বের প্রশ্নে বিভক্তি নয়, ঐক্যই আমাদের শক্তি হওয়া উচিত।
একতা, শৃঙ্খলা ও তারেক রহমানের নেতৃত্বেই বিএনপির অগ্রযাত্রা তারা আরও বলেন আমরা নুরুল আমিন চেয়ারম্যান এর মতো নেতৃত্ব প্রত্যাশা করি, যিনি মাঠে-মাঠে ছিলেন, মানুষের পাশে ছিলেন, এবং রাজনীতিকে ব্যবহার করেন জনগণের কল্যাণে। আমরা বিভ্রান্তির বিপক্ষে, আমরা আদর্শের পক্ষে।
Leave a Reply