বিশ্ব সমাদৃত মাইজভাণ্ডারীয়া ত্বরিকার প্রতিষ্ঠাতা গাউসুল আযম হযরত মাওলানা শাহ্ সুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ মাইজভাণ্ডারীর প্রপৌত্র ও মাইজভাণ্ডার অধ্যাত্ম শরাফতের অন্যতম প্রাণপুরুষ বিশ্বঅলি শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারীর (কঃ) ৯৫তম মহান ১০ই পৌষ খোশরোজ, মাইজভাণ্ডার শরিফ গাউসিয়া হক মন্জিলে ভিন্ন আবহের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। মাইজভাণ্ডার শরিফ গাউসিয়া হক মন্জিলের উদ্যোগে খোশরোজ শরিফের বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল বা’দে ফজর রওজা শরিফে গিলাফ চড়ানো, দিনব্যাপী খত্মে কুরআন, জিকির-আজকার, মিলাদ ও মোনাজাত। বিশেষ কর্মসূচির মধ্যে ছিল, চট্টগ্রাম জেলার ১৪টি উপজেলা যথা মিরসরাই, সীতাকুণ্ড, ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালী, পটিয়া, কর্ণফুলি, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, বাঁশখালী, সাতকানিয়া এবং লোহাগাড়া এলাকাধীন ৭ শত এতিমখানা ও হেফযখানার ৪০ হাজার নিবাসীদের মাঝে একবেলা খাবার বিতরণ।
মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ-এর দেশ-বিদেশে অবস্থিত ৭ শতাধিক শাখা কমিটির সদস্যরা নিজ নিজ এলাকায় এবং খানকায় মিলাদ মাহফিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.)-এর ৯৫তম ১০ই পৌষ খোশরোজ শরিফ পালন করেছেন। এদিন গাউসিয়া হক মন্জিলে আশেক-ভক্ত-জায়েরীনের সমাবেশের সুযোগ ছিল না।
উল্লেখ্য যে, ১০ই পৌষ খোশরোজ শরিফের দিন গাউসিয়া হক মনজিলের ঐতিহ্য অনুসারে সকল প্রকার হাদিয়া গ্রহণ বন্ধ থাকে। এবার ভিন্ন আবহে চট্টগ্রাম জেলার ১৪টি উপজেলাধীন ৭ শত এতিমখানা ও হেফযখানার ৪০ হাজার নিবাসীদের মাঝে একবেলা খাবার বিতরণের মধ্য দিয়ে খোশরোজ শরিফ উদযাপিত হয়েছে।
Leave a Reply