এম,আনিসুর রহমান
চাঁদার দাবিতে ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় স্বামীকে বেঁধে মারধর করে দ্বিতীয় স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে প্রথম স্ত্রীকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে ধর্ষণে জড়িত উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দিন, তজুমদ্দিন সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাসেল, তাঁর ভাই আলাউদ্দিনকে পুলিশ এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহব্বত খান এক নারীকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, গ্রেপ্তার আসামিকে মঙ্গলবার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের এক যুবককে গত শনিবার রাতে বাসায় ডেকে নিয়ে চাঁদার দাবিতে রাতভর নির্যাতন চালান উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দিন, তজুমদ্দিন সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাসেল, তাঁর ভাই আলাউদ্দিনসহ সংঘবদ্ধ একটি দল। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তির প্রথম স্ত্রীকে টাকা নিয়ে এসে স্বামীকে ছাড়িয়ে নিতে বলা হয়। রোববার সকালে প্রথম স্ত্রী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে স্বামীকে ছাড়িয়ে নিতে ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। চাঁদা না দেওয়ায় স্বামীকে বেঁধে রেখে তাঁর স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। এ ঘটনার পর রোববার সন্ধ্যায় ধর্ষণের শিকার নারী দুবার আত্মহত্যার চেষ্টা করলে বাড়ির আশপাশের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় মুচিবাড়িরকোনা বাজারে এনে সবাইকে ঘটনাটি জানান। ভুক্তভোগী নারী ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে পুরো ঘটনার বিবরণ জানালে রাতে পুলিশ এসে তাঁদের থানায় নিয়ে যায়। তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহব্বত খান বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি দলবদ্ধ ধর্ষণ ও মারধরের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে পুলিশ এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। অন্য আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply