1. news@dainikchattogramerkhabor.com : Admin Admin : Admin Admin
  2. info@dainikchattogramerkhabor.com : admin :
শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ১২:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
বান্দরবানে এপেক্স ক্লাব অব সাঙ্গু’র উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন এপেক্স বাংলাদেশের জেলা গভর্নর সৈয়দ মিয়া হাসান কৃষিক্ষেত্রে নারীর অবদান ও স্বীকৃতি: প্লাবনী ইয়াসমিন সীতাকুণ্ডে কলেজ কমিটির অভিবাবক সদস্য কে ফুলেল শুভেচছা আশাশুনিতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সবাইকে অচেতন করে নগদ অর্থ সহ ১১লক্ষ টাকার মালামাল চুরি রেজা খাঁন বেরলভী(রহ.)’র ১০৭ তম ও নজরুল ইসলাম নঈমী (রহ.)’র ৫ম ওফাত বার্ষিক ওরস মাহফিল অনুষ্ঠিত মেঘনা নদী থেকে সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের মরদেহ উদ্ধার। ১৫০০(পনেরশ তম) পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপলক্ষে দা’ওয়াতে ইসলামীর স্বাগত জুলুস। খুব শিগগিরই ঢাকা-ইসলামাবাদের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু হবে। -পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদীর ১৫০তম জন্মবার্ষিকী পালিত। আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ কর্তৃক অসহায় ভিক্ষুকের চুরি যাওয়া টাকা উদ্ধার, গ্রেফতার ২ 

পর্যটন শিল্পকে বিকশিত করার লক্ষ্যে শ্রীমঙ্গলে হারমোনি ফেস্টিভ্যাল শুরু

  • সময় রবিবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১৭৬ পঠিত

শহিদুল ইসলাম, সিলেট প্রতিবেদকঃ

দেশের পর্যটন শিল্পকে বিকশিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের উদ্যোগে ও স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় পর্যটন নগরী চায়ের রাজধানী খ্যাত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দেশের প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয়েছে তিন দিনব্যাপী ‘হারমোনি ফেস্টিভ্যাল’ উৎসবের।

১০ জানুয়ারি ২০২৫ইং, শুক্রবার বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই) সংলগ্ন কালিঘাট ইউনিয়নের কাকিয়াছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া।

বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) খান মো. রেজা-উন-নবী, এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সুদর্শন কুমার রায়।

এবারের হামোনি ফেস্টিভ্যাল উৎসবে স্থানীয় বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বিভিন্ন উপকরণের প্রদর্শনীসহ এ অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু সব খাবারের ৫০টি স্টল বসেছে।

দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত এবারের উৎসবে নৃ-তাত্তিক জাতিগোষ্ঠী খাসিয়া, গারো, মণিপুরি, ত্রিপুরা, সবর, খাড়িয়া, রিকিয়াসন, বাড়াইক, কন্দ, রাজবল্বব, ভূঁইয়া, সাঁওতাল, ওঁরাও, গড়াইত, মুন্ডা, কুর্মী, ভুমিজ, বুনারজি, লোহার, গঞ্জু, কড়াসহ শ্রীমঙ্গল ও সংলগ্ন এলাকার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা অংশ নিচ্ছেন। উৎসবে সবর জনগোষ্ঠী ‘পত্র সওরা নৃত্য’ ও ‘চড়ইয়া নৃত্য, খাড়িয়া জনগোষ্ঠী ‘খাড়ি নৃত্য, রিকিয়াসন জনগোষ্ঠী ‘লাঠি নৃত্য, বাড়াইক জনগোষ্ঠী ‘ঝুমুর নৃত্য’, কন্দ জনগোষ্ঠীর কুই নৃত্য, রাজবল্বব জনগোষ্ঠীর উড়িয়া নৃত্য, ভূঁইয়া জনগোষ্ঠীর ভূঁইয়া গীত, সাঁওতাল জনগোষ্ঠী লাগড়ে নৃত্য, ওঁরাও জনগোষ্ঠীর ওঁরাও নৃত্য, গড়াইত জনগোষ্ঠীর গড়াইত নৃত্য, মুন্ডা জনগোষ্ঠীর মুন্ডারি নৃত্য, কুর্মী জনগোষ্ঠীর কুরমালি নৃত্য, ভূমিজ জনগোষ্ঠীর ভূমিজ নৃত্য, বুনারজি জনগোষ্ঠীর উড়িয়া ভজন, লোহার জনগোষ্ঠীর ভুজপুরি রামায়ন কীর্তন, গঞ্জু জনগোষ্ঠীর গঞ্জু নৃত্য, কড়া জনগোষ্ঠীর কড়া নৃত্য, খাসিয়া জনগোষ্ঠী ‘ঐতিহ্যবাহী পোশাক ডিয়া কেরছা ও মালা পরিধাণের মাধ্যমে নাচ-গান, ‘তীর-ধনুক প্রতিযোগিতা, সীয়াট বাটু(গুলতি দিয়ে খেলা), কিউ থেনেং’ (তৈলাক্ত বাঁশে উঠার প্রতিযোগিতা), ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর কাথারক নৃত্য, বেসু নৃত্য, জুম নৃত্য, গ্যারি পুজা, ‘ক্যার পুজা, নক থাপেং মা পুজা, কাদং (রনপা), গারো জনগোষ্ঠী ‘জুম নৃত্য, আমোয়দেব (পুজা), গ্রীক্কা নাচ (মল্লযুদ্ধ), ‘চাওয়ারী সিক্কা’ (জামাই-বৌ নির্বাচন), চাম্বিল নাচ (বানর নৃত্য), মান্দি নাচ, রে রে গান, সেরেনজিং (প্রেম কাহিনীর গান), মণিপুরী জনগোষ্ঠী ‘রাসলীলা নৃত্য’, ‘পুং চলোম নৃত্য’ (ঢোল নৃত্য), রাধাকৃষ্ণ নৃত্য এবং সিলেটের ঐতিহ্যবাহী ধামাইল নৃত্য প্রদর্শন করা হবে। এছাড়াও খাসিয়া জনগোষ্ঠীর পান নিয়ে লাইভ পরিবেশনা, ত্রিপুরাদের কোমর তাঁত, মণিপুরিদের লাইভ তাঁত, চা ও রাবার প্রসেসিং, হোমস্টে, কুমারদের লাইভ মাটির জিনিসপত্র প্রস্তুত করছে।

জমজমাট উৎসবটি বিকেলে উদ্বোধন হলেও সকাল থেকেই এখানে আসতে থাকেন বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠীর মানুষ। পায়ে আলতা, বাহারি রঙের শাড়ি, খোঁপায় ফুল পরিধান করে বিভিন্ন জাতিসত্তার নারীরা নাচ ও গানে মুখরিত করে তোলেন পুরোটি উৎসব। সঙ্গে ঢোল-করতাল-মাদল বাজিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে অংশ নেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পুরুষরাও। প্রথম দিনে পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষ নিজেদের ঐতিহ্য তুলে ধরেন এই উৎসবে।

আয়োজকেরা জানান, শ্রীমঙ্গল বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন গন্তব্য, যেখানে টি ট্যুরিজম, ওয়াইল্ড লাইফ ট্যুরিজম, ব্যক ওয়াটার ট্যুরিজম, এথনো ট্যুরিজমসহ বিভিন্ন ধরণের পর্যটন বিকাশের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে আগত ইন বাউন্ড ট্যুরিস্টদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ প্রতি বছর শ্রীমঙ্গল এবং সংলগ্ন এলাকায় ভ্রমণ করে থাকেন। হারমোনি ফেস্টিভ্যাল এ অঞ্চলে বিদ্যমান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, জীবনাচারের টেকসই রুপদান, ট্যুরিস্টদের অনন্য অভিজ্ঞতা প্রদান এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের নতুন ট্যুরিজম প্রডাক্ট উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
কপিরাইট © ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট