নাসির উদ্দিন শিবলু, সীতাকুন্ডঃ
দেশব্যাপী সবজীর চাহিদা যোগানে সীতাকুন্ডে গুরুত্ব অপরিসীম। আধুনিক চাষাবাদের ছোঁয়ায় কম খরচে ঘরে অধিক ফলন তোলার সহজতর হয়ে উঠেছে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসায় চাষাবাদে কৃষকের আগ্রহও বৃদ্ধি পেয়েছে। অল্প জমিতে অধিক ফলন ফলাতে সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। সম্প্রতিক সময়ে ‘পার্টনার স্কুল ফিল্ড কংগ্রেস’ প্রকল্পে রপ্তানিযোগ্য নিরাপদ ফসল ও ফল উৎপাদন কার্যক্রমে কৃষিতে এসেছে অভাবনীয় পরিবর্তন। এ প্রকল্পের অধীনে কম খরচে অধিক ফলন ঘরে তোলে সাবলম্বী হচ্ছে কৃষকরা।
বিষমুক্ত রপ্তানীযোগ্য সবজী ফলনে পৌরসভাসহ ৯টি ইউনিয়নের ২৫ জন কৃষককে পার্টনার স্কুল ফিল্ড প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। এ প্রকল্পের অধীনে পৌরসভার নোনা ছড়া এলাকায় ২৪৬টি নিয়ম মেনে চিচিংগা আবাদের উপর পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে কৃষি গবেষনা ইনিস্টিটিউট। কৃষককে সব ধরনের সুবিধা দিয়ে এক একর জমির উপর চিচিংগা আবাদ শুরু করেছে। এ ধরনের পরিকল্পিত চাষাবাদে কম খরচে অধিক ফলন পেয়ে খুব খুশি কৃষক নুর মোহাম্মদ।
তিনি বলেন,‘ কৃষি অফিসের তত্বাবধানে জমিতে চিচিংগা লাগিয়েছি। সার-ফসফেট সমৃদ্ধ বেডে অফিস কর্তৃক সরবরাহকৃত চারাগাছ লাগানো হয়। একেকটি চারা গাছ প্রায় ৩ ফিট দুরত্বে রয়েছে। এক মাস বয়সের বাড়ন্ত চারা গাছের জন্য বাঁশের খুটিতে মাচাং বানিয়ে দিয়েছি। পোকা ও রোগ-বালায় হতে ফলন রক্ষায় কিটযুক্ত বাঁটিতে ফাঁদ দেয়া হয়েছে। পোকার উপদ্রব কমাতে মাঝে মধ্যে কিটনাশক ছিটানোর প্রয়োজন পড়ে। গবাদি পশু ও বন্যপ্রানী হতে ফসল রক্ষায় ঘেরা-বেড়ার ব্যবস্থা রয়েছে। দেড়মাসের পার হওয়ার পর থেকে লতাপাতায় ভরা চারাগাছ ফুল ও ফলে ভরে উঠে। পরিকল্পিত চাষ পদ্ধতির ফসল উৎপাদনে সপ্তাহে ১২’শ কেজির অধিক ফলন বিক্রি করা য়ায়।
সুত্রেমতে, ফলন উপযোগী এলাকায় চিচিংগা উৎপাদনে তিনজন কৃষককে নির্ধারন করা হয়। যাচাইকৃত কৃষকের এক একর জমি চিচিংগার উপযোগী করতে চারা,সার, কিটনাশক ও পরিচর্চা খরচ সংশ্লিষ্ট দপ্তর বহন করেছে। কংগ্রেস স্কুল ফিল্ড প্রকল্পে প্রথম ধাপে ৫ ধরনের ফল ও ১০ ধরনের স্ববজী উৎপাদন কার্যক্রম চলছে বলে জানান উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা হাবিব উল্লা।
তিনি বলেন,‘ রপ্তানী লক্ষ্যে রানার জাতের চিচিংগার উপর কার্যক্রম চলছে। এ পর্যন্ত ৯০ হেক্টর জমিতে চিচিংগা চাষাবাদ হচ্ছে। ক্রমান্বয়ে ৮৯০ জন কৃষককে পার্টনার ফিল্ড কংগ্রেস প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। পরিকল্পিত চাষাবাদে কৃষক উপকৃত হবে, বিষমুক্ত নিরাপদ সবজীতে স্বাস্থ্য সম্মত মানব সম্পদ গড়ে উঠবে।
Leave a Reply