1. news@dainikchattogramerkhabor.com : Admin Admin : Admin Admin
  2. info@dainikchattogramerkhabor.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ০১:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
চট্টগ্রাম জামেয়া মহিলা মাদরাসায় কামিল  ও ফাযিলের ছবক প্রদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন বোয়ালখালী প্যাথলজিতে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ লামায় মিরিঞ্জা পাহাড়ের ডেঞ্জার হিল রিসোর্টে পর্যটকের আত্মহত্যা সীতাকুণ্ডে গাড়ির চাপায় মোটর সাইকেল আরোহীর মৃত্যু বোয়ালখালীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার আবুধাবি যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে প্রবাসীর মৃত্যু আপনাদের সহযোগিতায় ময়মনসিংহ বিভাগকে আমরা একটা আদর্শ নগরে পরিণত করতে চাই বিভাগীয় কমিশনার পারিবারিক কলহে গার্মেন্টকর্মী ফেরদৌসি খুন: ছুরিকাঘাতকারী দেবর রনি সহ গ্রেফতার ২ ওমানে হৃদরোগে প্রবাসী ব্যবসায়ীর মৃত্যু চট্টগ্রামে নকল প্রসাধনী, মেয়াদোত্তীর্ণ শিশুখাদ্য জব্দ, ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চিত্রকর্মে জামায়াতের দাঁড়িপাল্লা, বিতর্ক-সমালোচনা

  • সময় মঙ্গলবার, ২২ জুলাই, ২০২৫
  • ৪৯ পঠিত

এম, আনিসুর রহমানঃ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে চারুকলা প্রদর্শনীতে কয়েকটি চিত্রকর্ম নিয়ে বিতর্ক চলছে, বিশেষ করে একাধিক চিত্রকর্মে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী প্রতীক দাঁড়িপাল্লা থাকায় আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের জাদুঘরে ১৫ দিনব্যাপী চারুকলা প্রদর্শনী শুরু হয়। এতে প্রদর্শিত একাধিক চিত্রকর্ম নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ বিষয়ে নানা অভিযোগ করছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে জুলাই অভ্যুত্থানের ইতিহাস তুলে ধরতে গিয়ে ইতিহাস বিকৃতি ঘটিয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দিন মহসীন তার ব্যক্তিগত ফেসবুক ওয়ালে লেখেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জুলাইকে আর কত ছোট করবে? ধিক্কার জানানোর ভাষা নেই। প্রায় একই রকম পোস্ট করেছেন শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াসিন। জামায়াতের দিকে ইঙ্গিত করে শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় তার ফেসবুকে লেখেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি একদলকে লিজ দিয়েছে? বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক চিত্র প্রদর্শনীতে একটি রাজনৈতিক দলের প্রতীক কেন? যারা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসে একটি গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে, ইতিহাস অতীতের মত তাদের সময়ে ছুড়ে ফেলে দিবে। চবি বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রোকনুজ্জামান নামে একজন শিক্ষার্থী লেখেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ১৫ দিনব্যাপী চারুকলা প্রদর্শনী শুরু হয়েছে আজ। অনেক ছবির মধ্যে এই ছবিটাও জায়গা পেয়েছে সেখানে। সবগুলো ছবিই চারুকলার শিক্ষার্থীরা এঁকেছেন। সম্ভবত ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে শিল্পী আইকনিক এই ছবিটার হাতে দাঁড়িপাল্লা ধরিয়ে দিয়েছেন। কেউ বলছেন রাজনৈতিক দলকে সার্ভ করা হয়েছে। আমার মতে– কোনো দলকে সার্ভ করার চেয়ে ইতিহাস বিকৃতি এখানে মূখ্য। ছবিটাতে সত্যিই যদি দাঁড়িপাল্লা থাকতো, তবে কাউকে সার্ভ করলেও হুবহু দাঁড়িপাল্লাসহ আঁকাটাই ছিলো ইতিহাসের দাবি। যা এখানে লঙ্ঘিত হয়েছে। এদিকে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়া চিত্রকর্মের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে এর চিত্রশিল্পী মেহেদী হাসান শুভ্র লেখেন, ‘Lady Justice — ন্যায়ের চিরন্তন প্রতীক চোখ বাঁধা এক নারী, এক হাতে দাঁড়িপাল্লা, অন্য হাতে তলোয়ার—তিনি লেডি জাস্টিস, ন্যায়ের প্রতীক। চোখ বাঁধা, কারণ বিচার কখনো পক্ষপাত দেখে না। দাঁড়িপাল্লা, কারণ প্রতিটি অভিযোগ আর যুক্তিকে সমভাবে ওজন করতে হয়; আর তলোয়ার, কারণ ন্যায়ের হাত হতে হয় দৃঢ় ও নিরপেক্ষ। এই মূর্তি কেবল পাথর বা ব্রোঞ্জের নয়, এটি আমাদের অন্তরের বিবেকের প্রতিচ্ছবি তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমার আঁকা এই পেইন্টিং Justice in the People’s Hands ‘Lady Justice’ এর চিরাচরিত ধারণাকে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নতুনভাবে উপস্থাপন করেছে। এখানে ন্যায়বিচারের প্রতীকী চরিত্রটি একজন সাধারণ বাংলাদেশি রিকশাচালক, হাতে থাকা দাঁড়িপাল্লা ন্যায় ও ভারসাম্যের প্রতীক, যা প্রমাণ করে আইন সবার জন্য সমান। স্যালুট করার ভঙ্গিটি দেশ ও জাতির প্রতি দায়বদ্ধতা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অবিচল প্রতিজ্ঞাকে তুলে ধরে। লাল পটভূমি দেশের আত্মত্যাগ ও সংগ্রামের প্রতীক, আর এর পেছনে থাকা জুলাই আন্দোলনের শহীদ ও আন্দোলনকারীদের প্রতিকৃতিগুলো মনে করিয়ে দেয় যে, স্বৈরাচারী শক্তিকে হারিয়ে সরকার ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ভারসাম্য এসেছে তাদের জন্য। এই শিল্পকর্মটি কেবল আইনের শাসন নয়, বরং সামাজিক ন্যায়বিচার, সাধারণ মানুষের প্রতি সংবেদনশীলতা এবং দেশের প্রতি দায়বদ্ধতার এক শক্তিশালী বার্তা বহন করে।
চারুকলা প্রদর্শনীর দায়িত্বে থাকা চবির চাকসু কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, ‘প্রশাসন যখন আমাকে প্রদর্শনী করার দায়িত্ব দেয়, আমার ওপর কোনো শর্ত বা চাপ রেখে দায়িত্ব দেয়নি। কোনোরূপ চাপের মধ্যে আমি কাজ করতে অভ্যস্ত নই। তাই এই প্রদর্শনীকে প্রশাসনের ষড়যন্ত্র বলার কোনো অবকাশ নেই।
ব্যক্তিগতভাবে আমি শিল্পীর স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। ছবির বিষয় কিংবা অভিব্যক্তি শিল্পীর নিজস্ব। আমি ব্যক্তিগতভাবে অংশগ্রহণকারী কোনো শিল্পীকে চিনিওনা। আবার কাউকে প্ররোচিত করে ছবি আঁকার প্রশ্নই আসে না।’- বলেন তিনি। সব ছবিই এঁকেছেন আমাদের চবির শিক্ষার্থীরা। কারও তত্ত্বাবধানে কোনো ছবি আঁকানো হয়নি। স্বাধীনভাবে শিল্পীরা শিল্পকর্ম জমা দিয়েছেন যোগ করেন জাহেদুর।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
কপিরাইট © ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট