শহীদুল ইসলাম বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম নগরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা চকবাজারের ফুলতলা মোড়, ঘাষিয়ার পাড়া ও কে.বি. আমান আলী রোড এখন কিশোর গ্যাংয়ের অবাধ দখলে। প্রতিদিন এই এলাকায় মদ, চাঁদাবাজি, জুয়া, ইয়াবা বেচাকেনা, চোলাই মদের কারবারসহ নানাবিধ অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। এই সমস্ত অপকর্ম চলছে প্রশাসনের চোখের সামনে—কিন্তু ব্যবস্থা নেই। বরং অভিযোগ আছে, এসব গ্যাং চালাতে সহায়তা করছে পুলিশের কিছু সোর্স ও প্রভাবশালী মহল।
এই কিশোর গ্যাংগুলোর আয়ের মূল উৎস হচ্ছে ফুটপাতের ভ্যানগাড়ি, অবৈধ ব্যাটারিচালিত অটো রিকশা, প্রকাশ্য জুয়ার আসর, ও মাদক চোরাচালান। এদের দৌরাত্ম্যে একদিকে যেমন এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল—সবই জিম্মি হয়ে পড়েছে, অন্যদিকে জনগণের জীবন নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে।
সরকারি রাজস্বদাতা সাধারণ মানুষ, দোকানদার ও বাসিন্দারা এখন চাঁদাবাজ কিশোর গ্যাংদের কাছে বন্দি। সড়ক জুড়ে দাঁড়িয়ে থাকা অবৈধ অটো-ভ্যানের কারণে অ্যাম্বুলেন্স চলাচল পর্যন্ত বন্ধ। স্কুলপড়ুয়া শিশু-কিশোরদের জীবন আজ ঝুঁকিতে।
এই অপরাধীদের ধরতে গেলে সাংবাদিকরাও রেহাই পান না। ভিডিও করতে গেলেই ক্যামেরা ভাঙচুর করে, আক্রমণ করে। অথচ এদের পেছনে যে অর্থের জোগানদাতা আছে, তা ওপেন সিক্রেট। স্থানীয় প্রশাসন কেন নীরব, সেটা এখনই প্রশ্ন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের কড়া নির্দেশনা থাকার পরেও, বাস্তবায়নে নেই দৃশ্যমান অগ্রগতি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ বা তথ্য দিয়েও থানায় মামলা নেওয়া হয় না। প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা জনমনে চরম হতাশা সৃষ্টি করছে।
এই অবস্থায় এলাকাবাসী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, RAB, ডিবি এবং পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সময় থাকতে ব্যবস্থা না নিলে ফুলতলার মতো জনবহুল এলাকাগুলোতে কিশোর গ্যাংয়ের সন্ত্রাস অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।
Leave a Reply