সুমন চৌধুরী,
বান্দরবান সদর প্রতিনিধি
গত ০৮/০৮/২৫ তারিখ রাত্র অনুমান ২১.৩০ ঘটিকার সময় ভিকটিম হোস্টেলের নিজ কক্ষে অবস্থানকালে গ্রেফতারকৃত আসামি ১। ক্যসাইওয়াং মার্মা ২। কান্নাওয়াং ৩। উহাই সিং মার্মা অপর পলাতক আসামি ৪। চহাই মং মার্মা (১৯) পিং-মৃত সাচিংউ মার্মা, মাতা-থুইল্লা মার্মা, সর্ব সাং-পাইন্দু হেডম্যান পাড়া, ২নং ওয়ার্ড, ১নং পাইন্দু ইউনিয়ন, থানা-রুমা, জেলা-বান্দরবানগন পরস্পর যোগসাজশে ভয়ভীতি দেখিয়ে ভিকটিমকে হোস্টেল থেকে বের করে পাইন্দু হেডম্যান পাড়ার পশ্চিম পাশে অবস্থিত পাইন্দু মডেল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পিছনে টিলার উপর সেগুন বাগানের ভিতর নিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। ঘটনা কাউকে জানালে ভিকটিমকে হত্যা করার ভয় দেখিয়ে ০৯/০৮/২৫ তারিখ রাত্র অনুমান ০২.০০ ঘটিকায় ছেড়ে দিলে ভিকটিম হোস্টেলে চলে যায় এবং ভয়ে ঘটনা গোপন রাখে।
পরবর্তীতে ০৯/০৮/২৫ তারিখ দিবাগত রাত্র অনুমান ০৯.৩০ ঘটিকার সময় ভিকটিম হোস্টেলে অবস্থানকালে অপর পলাতক আসামি ৫। ক্যওয়াংসাই মামা (২০) শিং-ক্যহ্লাচিং মার্মা, মাতা-মামুচিং মার্মা, সাং-পাইন্দু হেডম্যানপাড়া, ২নং ওয়ার্ড, ১নং পাইন্দু ইউনিয়ন, থানা-রুমা, জেলা-বান্দরবান ভিকটিমের হোস্টেল কক্ষে প্রবেশ করে ভিকটিমকে ভয়ভীতি দেখিয়ে হোস্টেলের অপর একটি কক্ষে নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ করলে ভিকটিমকে প্রাণে হত্যার হুমকি দেয়।
গত ১৯/০৮/২০২৫খ্রিঃ তারিখে ধর্ষণের ঘটনার বিষয়ে গোপনসূত্রে জানার পর রুমা থানার অফিসার ইনচার্জ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিম এবং তার পরিবারের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পান এবং উর্ধর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন।
ঘটনার বিষয়ে অবগত হওয়ার পর বান্দরবান পার্বত্য জেলার পুলিশ সুপার মো: শহিদুল্লাহ কাওছার পিপিএম (বার) এর সার্বিক দিক-নির্দেশনায় অফিসার ইনচার্জ রুমার নেতৃত্বে পুলিশের এবং সেনাবাহিনীর যৌথ আভিযানিক দল ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন এবং আসামীদেরকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান শুরু করেন। যৌথ আভিযানিক দল অদ্য ইং-২০/০৮/২৫ তারিখ রাত্র অনুমান ০২,৩০ ঘটিকা হতে সকাল ০৬.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিমের সনাক্তমতে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট ০৩ আসামিকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু এবং আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। পলাতক অপর ০২জন আসামিকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে। ধর্ষণের ভিকটিম শিশুটি রুমা থানার শিশু বিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তার অধীনে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের তত্ত্বাবধানে আছে। ভিকটিমের যথোপযুক্ত শারীরিক ও মানসিক চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
Leave a Reply