
আলমগীর আলম, পটিয়া।
চট্টগ্রামের সব চেয়ে সুন্দর, দৃষ্টি নন্দন ও ঐতিহ্যবাহী জনপদের নাম পটিয়া। বৃটিশবিরোধী আন্দোলনে পটিয়ার ভূমিকা ছিল সারাদেশের কাছে আলোচিত। এখানে মুন্সি আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, ড.শান্তিময় খাস্তগীরসহ বহু জ্ঞানীগুণী মানুষের জন্ম ।
পটিয়ার গৌরব গাঁথা ১৫০ বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য রয়েছে।
সাবেক মহুকুমা শহর হিসেবে পরিচিত এ পটিয়া গড়ে উঠেছে জেলা মানের সমৃদ্ধিময় শহর, শিক্ষা সংস্কৃতি লালনপালনসহ নানান ভাবেই ব্যাপক পরিচিত এ পটিয়া।
কালের বিবর্তনে এক সময় পটিয়া ছিল অন্ধকার সরকার যাই সরকার আসে পটিয়ার পরিবর্তন হয়নি এখনো।
পটিয়া উপজেলায় কোন বিনোদনের স্পষ্ট বা শিশু পার্ক গড়ে না উঠায় পটিয়ার জনগণ ও সরকারি -বেসরকারি কর্মকর্তাদের ছেলেমেয়েরা ও বিনোদন প্রেমী শিক্ষার্থীরা দিনোদন বঞ্চিত।
মনমানসিকতার পরিবর্তনে বিনোদন ছাড়া কোন মানুষ চলতে পারেনা, পটিয়া উপজেলা ও পৌরসভার কোন জায়গায় বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ও নিরব জায়গায় ঘটছে নানা ধরনের দূর্ঘটনা এতে উঠতি বয়সের তরুন -তরুনীরা বিপদগামী হচ্ছেন।
শিশুদের পড়ালেখার পাশাপাশি বিনোদনের গুরুত্ব অপরিসীম। পটিয়া উপজেলার মুজিব নগর হাইদগাঁও ইউনিয়নের পাহাড় বেষ্টিত সবুজের সমারোহে বিশাল সম্ভবনাময় জাগয়া জুড়ে রয়েছে পর্যটন পার্ক গড়ে উঠার অপার সম্ভবনা।
স্থানীয় সমাজ সেবক জসীম উদ্দিন বলেন বিগত সময়ে পটিয়াসহ অত্র এলাকায় নানান প্রজেষ্ট অনুমোদনের কথা শুনেছিলাম কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি।
এখানে হর্টিকাচার বহৎ প্রজেক্ট করার মত জায়গা রয়েছে সংশ্লিষ্টরা যদি নজর দেয় এ এলাকা আধুনিক শহরে রুপান্তর হবে তিনি আরও বলেন পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়ন একটি সম্ভবনাময় এলাকা।
পাহাড়ী পথে পূর্বদিকে রাঙ্গুনিয়া হয়ে পটিয়া আসার জন্য একটি সড়ক হওয়ার কথা রয়েছে পাশাপাশি পাহাড়ের পাদদেশে বিনিয়োগ করে স্থানীয় অথবা সরকার যদি পর্যটন শিল্প গড়ে তুলতে কাজ করেন তাহলে এ অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থান এবং এলাকার চেহেরা বদলে যাবে।
তিনি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলাপ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা জানান।
এলাকার বাসিন্দা বিশিষ্ট
সংগঠক ও ব্যাংকার সৈয়দ মিয়া হাসান বলেন প্রতিদিন বিকেল হলেই পটিয়ার বিভিন্ন এলাকা হতে বিনোদন প্রেমীরা ছুটে আসেন এ সম্ভবনাময় জায়গায় একটু বিনোদনের আশায়।
সরকারি অথবা বেসরকারিভাবে উদ্যোগ নিলে পটিয়ার এ পাহাড়ের পাদদেশ হয়ে উঠবে বিনোদনের এক অনন্য নিদর্শনীয় এলাকা।
এলাকাবাসী ও বিনোদনপ্রেমী লোকজন পটিয়ার এ দৃষ্টিনন্দন এলাকায় পর্যটন ও শিশুপার্ক গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।
সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায় চারিদিকে সবুজ আর সবুজ এক অনন্য সৌন্দর্যময় মনোরম পরিবেশ।
এখানে প্রতিদিন মানুষের যে আনাগোনা দেখা যায় তাতেই বোঝা যাচ্ছে এখানে একটি পর্যটন কেন্দ্র ও শিশুপার্ক করা গেলে পটিয়ার মানুষের যে বিনোদনের ঘাটতি তা পূরণ হবে এবং বহু মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে নি:সন্দেহে।
Leave a Reply