1. news@dainikchattogramerkhabor.com : Admin Admin : Admin Admin
  2. info@dainikchattogramerkhabor.com : admin :
বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
পটিয়ায় গণঅধিকার পরিষদের ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব সমর্থক গোষ্ঠীর কার্যকরী কমিটি অনুমোদন বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদ- চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আহবায়ক কমিটি অনুমোদন এপেক্স ক্লাব অব বান্দরবানের সেবা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত। যুবদলের ৪৭তমপ্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে শহীদ জিয়ার মাজারে উরকিরচর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শ্রদ্ধা ঐতিহাসিক ২৮ অক্টোবর উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পটিয়ায় তেলবাহী মিনি ভ্যান ছিনতাই: মূল দুই আসামি গ্রেফতার নিরাপদ সড়ক গড়তে সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে — সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন আনোয়ারা মানবসেবা ফাউন্ডেশন এর ২০২৫-২৬ কার্যকরী নতুন কমিটি গঠন আমিরাতের রাস আল খাইমায় দৃষ্টিনন্দন সর্বোচ্চ পর্বত ও বিশ্বের দীর্ঘ জিপলাইন জাবেল জেইস -শাহেদ সরওয়ার

ঐতিহাসিক ২৮ অক্টোবর উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

  • সময় মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৫১ পঠিত

চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধি- মো. আবদুল আলী

২৮ অক্টোবর জাতির কাছে প্রেরণার বাতিঘর : মুহাম্মদ শাহজাহান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে জামায়াতে ইসলামী আপোষহীন। যার প্রমাণ ঐতিহাসিক ২৮ অক্টোবর। সেদিন সারাদেশে জামায়াতের কর্মীরা জীবন উৎসর্গ করেছে ইসলামী আন্দোলন ও দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য। আমাদের শহীদের শুধু জামায়াতের কাছে নয় পুরো জাতির কাছে প্রেরণার বাতিঘর।

তিনি আজ সকাল ৮ টায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে ফেডারেশনের নগর কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ২৮ অক্টোবর লগি বৈঠার তাণ্ডবে শাহাদাত বরণকারী শহীদ রুহুল আমিন ও শহীদ হাবিবুর রহমান সহ সকল শহীদদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও নগর সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌধুরী এর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য ও নগরের ভারপ্রাপ্ত আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।

মুহাম্মদ শাজাহান বলেন, সেই সময় আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোটের কি পরিকল্পনা ছিল তা পরবর্তী ১৭ বছরে জাতি পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছে। তারা বাংলাদেশকে ভারতের একটি তাবেদার রাজ্য পরিণত করার জন্য সেদিন এদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের অত্যন্ত প্রহরী জামায়াতে ইসলামী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের উপর চূড়ান্ত আঘাত করেছিল। তারা চেয়েছিল এদেশের মাটি থেকে ইসলামী আন্দোলন ও তার নেতৃত্বকে মুছে ফেলার। তার প্রথম পরিকল্পনা হিসাবে তারা সেই সময় ২৮ অক্টোবরকে বেছে নিয়েছে। তারা সারাদেশে লগি বৈঠার তাণ্ডব চালিয়ে শহীদ মুজাহিদ, মাসুম, জসিম, হাবিবুরসহ অসংখ্য নেতাকর্মী ও সাধারণ নাগরিককে হত্যা করেছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে পঙ্গু করে দিয়েছে। আমাদের অফিসগুলো জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। একই সাথে বহু মানুষের ঘরবাড়ি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও প্রতিষ্ঠান পুড়িয়েছে। পুরো বিশ্ব সেদিন হতবাক হয়ে গিয়েছিল। রাজনীতির নামে এ কোন ধরনের জ্বালাও পোড়াও নীতি। আসলে তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল ক্ষমতার মসনদ দখল করা। তারা ভারতের প্রেসক্রিপশনে এদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিলিয়ে দিয়ে দেশ ও জাতির উপর অসভ্য ও বর্বর আঘাত হেনেছে।

তিনি বলেন, সেদিন জামায়াতের কর্মীরা জীবন বাজি রেখে নেতৃবৃন্দকে রক্ষা করেছে। ফলে তাদের একটি বড়ো পরিকল্পনা নস্যাৎ হয়ে যায়। জামায়াতের দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব থাকতে এদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য পরিণত করা যাবে না এই বিশ্বাস তাদের ছিল। পরবর্তীতে ভারতের অন্য একটি প্রেসক্রিপশনে তথাকথিত মানবতা বিরোধী অপরাধের নামে জুডিশিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে হত্যা করেছে। নেতৃবৃন্দ জীবন দিয়েছেন কিন্তু আপোষ করেননি। তাদের সেই আত্মত্যাগের ফসল জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। আজকে দেশের মানুষ জানে কাদের কাছে এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিরাপদ। আজকে জামায়াতের যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তার পেছনে ২৮ অক্টোবরের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ২৮ অক্টোবের স্মৃতি ভুলবার নয়। আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা লগি বৈঠার তাণ্ডব চালিয়ে ঢাকা সহ সারাদেশে মানুষ হত্যার যে পৈশাচিক দৃশ্যের অবতারণা করেছিল। যা মানবজাতির ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে রচিত হয়েছে। এই ন্যাক্কার জনক ইতিহাসের মূল মাস্টারমাইন্ড প্রণব মুখার্জি সহ তৎকালীন ভারতীয় দাদারা। যারা কোনদিন এদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী ছিল না। যারা এদেশকে সব সময় শোষণ করতে চেয়েছে। এদেশের ইসলামপ্রিয় জনতার উত্থানে তারা ভীত ছিল। তাই তারা এদেশের ক্ষমতার মসনদে এমন একটি দলকে বসাতে চেয়েছিল যারা এদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে সহজে তাদের হাতে তুলে দিবে। আর সেই দলটি ছিল আওয়ামী লীগ ও তাদের ১৪ দলীয় জোট।

তিনি বলেন, ভারতের বেশ কয়েকটি পরিকল্পনায় ছিল । তাদের সর্বপ্রথম পরিকল্পনা ছিল জামায়াতে ইসলামীকে এ দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া। এ পরিকল্পনায় তারা সফল হতে পারেনি। পরবর্তীতে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে হত্যার মাধ্যমে জামায়াতকে দুর্বল করতে চেয়েছে। এই পরিকল্পনাও তারা সফল হয়নি। আমাদের নেতৃবৃন্দ শাহাদাতের পথ বেছে নিয়ে এই জমিনকে উর্বর করে গেছেন। তাদের আরেকটি পরিকল্পনা ছিল এ দেশের সীমান্তকে দুর্বল করা। বিডিআর বিদ্রোহের মাধ্যমে এই দেশের দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনীর অফিসারদের হত্যা করে তারা সেই পরিকল্পনায় যথেষ্ট সফল হয়েছে। আজকের এই দিনে আমরা ২৮ ই অক্টোবরের খুনি ও বিডিআর বিদ্রোহের হোতাদের বিচার দাবি করছি।

সভাপতির বক্তব্য এস এম লুৎফর রহমান বলেন, এদেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে শ্রমিকদের অবদান কখনো সেভাবে মূল্যায়ন করা হয় না। অথচ প্রতিটি আন্দোলনেই সফলতার পেছনে শ্রমিকদের অবদান অতুলনীয়। ২৮ অক্টোবরে ঢাকার পল্টনে শ্রমিক নেতা হাবিবুর রহমান ও গাজীপুরে শ্রমিক কল্যাণের তৎকালীন জেলা সভাপতি রুহুল আমিনের শাহাদাত আন্দোলন সংগ্রামে শ্রমিকদের ত্যাগ তিতিক্ষার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আমরা মনে করি আমাদের ভাইদের আত্মত্যাগ বিফলে যায়নি। তাদের রক্তের উপরে এদেশে ইসলাম বিজয়ী হবে ইনশাল্লাহ।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মকবুল আহমেদ ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক হামিদুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ নুরুন্নবী, দপ্তর সম্পাদক স ম শামীম, সহ-প্রচার সম্পাদক আব্দুর রহীম মানিক, ট্রেড ইউনিয়ন সম্পাদক মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম ও পাঠাগার সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
কপিরাইট © ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট