মোঃ মনিরুল ইসলাম রিয়াদ
চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধিঃ
আজ ২১ ফেব্রুয়ারি। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বাঙালি জাতির জন্য এই দিবসটি হচ্ছে চরম শোক ও বেদনার, অন্যদিকে মায়ের ভাষা বাংলার অধিকার আদায়ের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে ভাষা শহীদদের স্মরণে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে।
সূর্যোদয়ের সাথে সাথে প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়, তবে ভাষা শহীদদের স্মরণে পতাকাটি অর্ধনমিত রাখা হয়। সকাল আটটায় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। একই সময় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে চিত্রাংকণ প্রতিযোগিতা শুরু হয়। সকাল নয়টায় জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে মূল অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।
প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা রিয়া ধর এর উপস্থাপনায় উক্ত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বক্তব্য, গান ও কবিতা পরিবেশন করে। এ সময় প্রতিষ্ঠানের পরিচালক , প্রিন্সিপাল সহ সকল শিক্ষক-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে বক্তারা একুশে ফেব্রুয়ারি তাৎপর্য সম্পর্কে আলোচনা করেন। সমাপনী বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল মোঃ আমজাদ হোসাইন বলেন, ‘আমাদের ভাষার নাম দিয়ে আমাদের দেশের নামের শুরু, পৃথিবীতে সম্ভবত এমন দেশের সংখ্যা খুব বেশি নেই।
তিনি আরও বলেন, বাংলা অত্যন্ত সমৃদ্ধ একটি ভাষা। আমাদের ভাষাকে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দিতে ভাষার ইতিহাস ঐতিহ্য জানতে হবে। কেননা পৃথিবীতে একটি জাতি আছে যারা ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছে। এই ভাষা অনন্য একটি ভাষা,রক্তের দামে কেনা। তাই আগামি প্রজন্মকে বাংলা ভাষার সঠিক ইতিহাস জানতে হবে তাহলেই বায়ান্ন ও একাত্তরের চেতনায় শাণিত হতে পারবে। কোন অপসংস্কৃতি যেন আমাদের ভাষা- মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে গ্রাস করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তাহলেই সালাম জব্বার রফিক সফিকের রক্ত বৃথা যাবে না।’
প্রতিষ্ঠান পরিচালক ও কর্ণধার ইঞ্জিনিয়ার হোসাইন মুরাদ বলেন অনেক ত্যাগের আর শহীদের রক্তের দামে কেনা আমাদের মায়ের ভাষা। আগামিতে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হলে অবশ্যই শিশুদের ভাষা আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস ও ঐতিহ্য আগামি প্রজন্মকে জানাতে হবে।
সেই সাথে একুশের চেতনা বুকে ধারণ করেই বাংলাকে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দিতে হবে। আমি সেই লক্ষে শিশুদেরকে স্কুলে পালাগান, পুঁথিপাঠ শেখাচ্ছি। যাতে করে শিশুর আবেগ অনুভূতির সঙ্গে বাংলা সংস্কৃতির পরিচয় ঘটে।’
সবশেষে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
Leave a Reply