পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ট মহা মানব রাসূলে পাক্ (সা.) বলেছেন,মানুষ মানুষের সাথে পারস্পরিক সহানুভূতি বন্ধুত্ব বজায় রাখবে।দয়া অনুগ্রহের ক্ষেত্রে যেন একটি দেহের মতো কাজ করবে যখন দেহের কোনো অঙ্গ অসুস্থ হয় তখন পুুরো শরীর তার জন্য বিনিদ্রা থাকে অসুস্থতায় সে দেহ আক্রান্ত হয়। (বুখারি ও মুসলিম)।
আজ পৃথিবীর মুসলমান সম্প্রদায় মহামানব হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর আদর্শ থেকে অনেক দুরে।
এখন মানুষ নিজের স্বার্থ ছাড়া অন্য কিছু ভাবতেই চায় না। মানুষের দুঃখ-কষ্ট, বিশ্ব সমাজ ব্যবস্থা,শোষণ অত্যাচারের বিষয়টি এখন কেউ লিখে না,কাউকে জানান দেয় না,সবাই তার নিজ নিজ সুবিদা আদায়ে ব্যস্ত যা কখনও কাম্য হতে পারে না।
অনেকের মতে,এখনকার সময় সাহিত্য সৃষ্টি শুধু মাত্র বিলাসিতা কবিতা,গল্প উপন্যাস অনেকে লিখেন তাতে মানব কল্যানে বা মানবতাবোধকে জাগ্রত করনে তেমন কিছুই থাকে না আবার বর্তমানে অনেকে নিজের প্রচার প্রসারে, নিজের টাকায় ভিন্ন পথে সম্মাননা ক্রেষ্ট সনদ নিয়ে তা আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারে বেশি ব্যস্ত হয়ে যাওয়া নির্যাতিত,নিরীহ মানুষের কান্নার আওয়াজ তার কান পর্যন্ত যায় না।মানবতা,ভালবাসা,মায়া,মমতা সৃষ্টির প্রতি প্রতিটি মানুষের মানবতাবোধ,গঠনমূলক চিন্তাভাবনা,এ পৃথিবী সকল মানুষের,এই পৃথিবীকে সব মানুষের জন্য বাস যোগ্য করার জন্য অর্থনৈতিক সাম্য ও সামাজিক সাম্য এবং বিভিন্ন ধর্মীয় সমাজের অর্থনৈতিক,সাংস্কৃতিক, শিক্ষাগত, আইনগত, সামাজিক ও রাজনৈতিক সহাবস্থান সৃষ্টি হোক তার জন্য কি কি করনীয়,সৃষ্টিশীল মানুষ হিসাবে তার কি কি দায়িত্ব সে বিষয়ে তার কোন জ্ঞান ও নেই।
যে কবি,যে লেখক,যে সাহিত্য-সমাজকে পরিবর্তন করতে পারে না,মানবতাবোধ কে জাগ্রত করতে পারেনা সে সাহিত্য সত্যিকারে মানুষের কোন উপকারে আসে না।
মানুষ অধিকার বঞ্চিত হয়ে থাকবে,অবদমিত হয়ে থাকবে এবং নির্যাতিত,অধঃপতিত এবং অসম্মানিত হয়ে থাকবে তা কখনও স্বাভাবিক বিষয় হতে পারে না।
পারে না কোন মানুষের পরিচয় সে “সংখ্যা লঘু”।
তাই জাতিভেদ অবসান কল্পে ও বিশ্বের নিরীহ মানুষের অবস্থার দ্রুত পরিবর্তনের জন্য ধর্ম,বর্ণ,জাতি গোষ্টি নির্বিশেষে সবাইকে এক হয়ে সুন্দর পৃথিবী বিনির্মানে সকল মানুষকে সম অধিকার দিয়ে,তার ধর্ম নিয়ে সে স্বসম্মানে পৃথিবীতে যেন ধর্মকর্ম করে বেঁচে থাকতে পারে যে অধিকার তাকে দিতে হবে এবং সব মানুষকে তা নিশ্চিত করতে হবে।
লেখক-
কবি, প্রাবন্ধিক ও মানবাধিকারকর্মী।
Leave a Reply