উপসম্পাদকীয়ঃ
ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবকদের মধ্যে রীতিমত একটা আতংকে পরিনত হয়েছে ইউনিক আইডি প্রোগ্রাম!!! অবশ্য ভালো উর্ধেক ডিজিটাল যুগে ভবিষ্যৎ চিন্তা করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের জন্য সরকার ইউনিক আইডি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সরকার অবশ্য প্রসংশার দাবি রাখে। কিন্তু ইউনিক আইডি ও অনলাইন জন্ম নিবন্ধ করতে গিয়ে ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবক জন্ম নিবন্ধ অনলাইন কপি ও সংগ্রহ করা ও রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ের ও বিড়ম্বনায় পড়েছে অনুগ্রহ পুর্বক একটু মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
আজ আমিও লিখতে বাধ্য হলাম।
সারা দেশে ইউনিক কার্ড প্রদান করার জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে ব্যানবেইজের একটি ফর্ম দেয়া হয়েছে যা ছাত্র/ছাত্রী দের দিতে হবে ৬ষ্ট থেকে দ্বাদশ শ্রেনী পর্যন্ত। কিছু প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছি। প্রশ্ন গুলোর উত্তর আপনাদের জানা থাকলে দিবেন।
#১) করোকালিন /লক ডাউনের মধ্যে শিক্ষার্থীদের ঘরে অবস্থান করার নির্দেশনা রয়েছে এবং প্রশাসন ও অভিভাবকদের এটা নজর দেয়ার জন্যও স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের । স্কুল কলেজ বন্ধ তারপরেও ছাত্র ছাত্রী দের ডেকে এনে ফর্ম দিব আবার জমাও নিব। ছাত্র ছাত্রী আসবে কাগজ পত্র জমা দিবে তখন কোভিড 19 ভাইরাস কোথায় থাকবে?
#২) বাবা মার এন আই ডি কার্ড দিলে আবার তাদের জন্ম নিবন্ধন কার্ড লাগবে কেন? তাও নাকি অনলাইনের জন্ম নিবন্ধন হতে হবে। আমরা যারা গ্রাম থেকে জন্ম নিবন্ধন কার্ড করেছি সেটা হাতে লেখা কার্ড। তাতে হবে না। সেক্ষেত্রে আমাদের কি করনীয়?
#৩) রক্তের গ্রুপের মেডিকেল রিপোর্ট লাগবে, সেটা যখন করাতে যাবো বাচ্চাদের নিয়ে তখন কোভিড 19 ভাইরাস কোথায় অবস্থান করবে?
#৪) দ্বাদশ শ্রেনী কারা?
বর্তমান পরীক্ষার্থী দের ধরলে যারা এস এস সি পরিক্ষার্থী ওদের কোন ইউনিক কার্ডের প্রয়োজন নেই তাই তো? তাই তাদের ফর্ম ফিল আপ করা লাগবে না এটা নাকি অন্য কিছু।
#৫) যারা পিতা / মাতা বা নিজের নাম সংশোধন বা পিতা মাতার এন আই ডি সংশোধন করার আবেদন করেছে তারা কি করবে?
#৬) পোস্ট করার পর জানতে পারলাম গ্রামের/শহরেরে স্কুল/ কলেজ গুলো কিছু টাকাও নিচ্ছে, এটা কি ধরনের কথা?
#৭) গ্রাম অঞ্চলের সহজ সরল মানুষের বেশির ভাগই জন্মনিবন্ধন ও আইডি কার্ডের জন্মতারিখ সহ বিভিন্ন তথ্যের অমিল আছে। আর এই সব সমস্যা নিয়ে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় ইউনিয়ন পরিষদে, শিক্ষা বোর্ডে এবং নির্বাচন কমিশন অফিসে। আর সাধারন মানুষ বুঝে বা না বুঝে শিক্ষকদের দোষারপ করে আর এই সব তথ্য ঠিক করে দিতে বলে। যদিও বর্তমানে এইসব সংশোধনী অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ জন্য সাধারন মানুষের সন্তানদের পড়াশুনার প্রতি অনিহা সৃষ্টি হবে না তো?
#৮) বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই সময়ে এটা কেন এত দরকার?
সর্বোপরি গবেষণাবিদ যারা আছেন তারা একটু মাথা খাটিয়ে চিন্তা ভাবনা করবেন। কাজ করছেন ভালো কথা তবে কাজ করার আগে ৩ টা প্রশ্ন করবেন “What”, “Why” and “How” নিজেরাই উত্তর খুঁজে পাবেন। তখন সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। সরকারকে আর বিপদে ফেলবেন না, যথেস্ট হয়েছে বরং সরকারের সাথে থেকে জনগণের কল্যানে কাজ করুন।
সমাজকর্মী,লেখক~ নেছার আহমেদ খান
Leave a Reply