চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া থানাধীন আফজালনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আনুমানিক ০১ কোটি ১৫ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকার মূল্যের ৩৮,৬৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম। মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত ট্রাকটিও জব্দ করা হয়েছে:
র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দেশের আইন শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম; অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার, মাদক উদ্ধার, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
গত ১৬ এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যার পর র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী ট্রাক যোগে বিপুল পরিমান ইয়াবা নিয়ে কক্সবাজার হতে চট্টগ্রামের দিকে আসছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে একই তারিখ রাত ১৯৩০ ঘটিকা হতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি চৌকস আভিযানিক দল চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া থানাধীন আফজালনগর এলাকার ‘মোজাম্মেল স্টোর’ নামীয় জনৈক হাসমতের দোকানের সামনে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাকা রাস্তার উপর একটি বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ি তল্লাশি শুরু করে। রাত ২০৫০ ঘটিকায় কক্সবাজারের দিক থেকে ০১ টি ট্রাক র্যাবের চেকপোস্টের দিকে আসতে থাকলে ট্রাকটির গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে র্যাব সদস্যরা ট্রাকটিকে থামানোর সংকেত দিলে ট্রাকটি হঠাৎ র্যাবের চেকপোস্টের সামনে থামিয়ে চালক ও হেলপার ট্রাক থেকে নেমে সুকৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে ট্রাকটির চালক ১। মোঃ আবুল হোসেন (৩২), পিতা-মৃত কাজী আঃ রহিম, সাং-মনিপুর, থানা-কোতয়ালী, জেলা-কুমিল্লা এবং হেলপার ২। মোঃ মানিক মিয়া (২৯), পিতা-মোঃ শহীদুল ইসলাম, সাং-কদমতলী, থানা- সিদ্দীরগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জদের আটক করে। পরবর্তীতে বহু লোকদের সম্মুখে আটককৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে যে, তাদের চালিত ট্রাকের কেবিনের ভিতর বিপুল পরিমান ইয়াবা ট্যাবলেট রয়েছে। এক পর্যায়ে আসামীরা নিজেরাই সাক্ষীদের মোকাবেলায় ট্রাকের কেবিনের ভিতর ড্রাইভারের সিটের পিছ থেকে বিশেষ কায়দায় রক্ষিত ০৪ টি ইট সদৃশ কাল রংয়ের স্কচটেপ পেচানো প্যাকেট হতে মোট ৩৮,৬৫০ (আটত্রিশ হাজার ছয়শত পঞ্চাশ) পিস ইয়াবা বের করে দেয়, যা র্যাব-৭ জব্দ করে। ইয়াবা রাখার দায়ে ট্রাক ড্রাইভার এবং হেলপারকে গ্রেফতার করা হয়। ইয়াবা বহনকারী ট্রাকটিও র্যাব কর্তৃক জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা স্বীকার করে যে, দীর্ঘদিন যাবত তারা কক্সবাজার জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে পরবর্তীতে চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বিক্রয় করে আসছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ১,১৫,৯৫,০০০/- (এক কোটি পনের লক্ষ পচানব্বই হাজার) টাকা এবং আটককৃত ট্রাকের আনুমানিক মূল্য ৫০,০০,০০০/- (পঞ্চাশ লক্ষ টাকা)।
এ সংক্রান্তে চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।
Leave a Reply