প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী চলমান সংকট ও সহযোগিতার বিষয়ে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের মাধ্যমে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়। যার মাধ্যমে দেশগুলো একসঙ্গে কাজ করে শান্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করার চেষ্টা করে। এই অধিবেশনে অংশ নেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এবং মন্ত্রীরা। এই অধিবেশনের মাধ্যমে বর্তমানে বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠাই মূল চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছি।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশন ১০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে। আর সাধারণ পরিষদে উচ্চপর্যায়ের বিতর্ক অধিবেশন শুরু হবে ২৪ সেপ্টেম্বর। সাম্প্রতিক সময়ে নানা কারণে বৈশ্বিক সুশাসনে যে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি বাংলাদেশের হয়ে এবার আগামী ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর ‘সামিট অব দ্য ফিউচার’- যোগদান দেওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনুস।
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী শান্তির চরম সংকট রয়েছে। একদিকে রাশিয়া যুদ্ধ আরেক দিকে ইসরায়েল ফিলিস্তিন, এবং বাংলাদেশ সহ বিশ্বব্যাপী অশান্তি রয়েছে। অর্থনৈতিক, সামাজিক ও মানবাধিকার ভুলন্ঠসহ সকল ক্ষেত্রে অস্থিতিশীল অবস্থায় বিরাজ করছে। এই সংকট রোধে বিশ্ব নেতাদের মানবিক হওয়া এবং সকল নেতাদের ঐক্যের জন্য আহবান জানান এশিয়ান নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মোহাম্মদ আলী।
এশিয়ান নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মোহাম্মদ আলী বলেন, প্রতি বছর জাতিসংঘের অধিবেশন ঘিরে অনেক প্রত্যাশা থাকলেও তা কিন্তু কাঙ্ক্ষিত কোন ফলপ্রসূ হচ্ছে না। অশান্তির দাবানলে পুড়ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। আজ প্রায় ২ বছর পেরিয়ে যাচ্ছে অথচ এখনো রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের কোন সুরাহ হচ্ছে না এর আবার মধ্যে আবার ইসরাইল ফিলিস্তিনি যুদ্ধ চলমান রয়েছে। ইসরায়েলের গনহত্যায় ফিলিস্তিনিতে প্রতিদিন হাজার হাজার নারী পুরুষ ও শিশু নিহত হচ্ছে। চরম খাদ্য সংকটে পড়ছে ফিলিস্তিনি বাসী। প্রতি বছর এত বড় বড় উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে বৈঠক হচ্ছে আলোচনা হচ্ছে অথচ যুদ্ধ আর বন্ধ হচ্ছে না। জাতিসংঘ যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে জোরালো কোন ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। এক দেশ আরেক দেশ কে সামান্য অমিল থাকলে যুদ্ধের হুমকি দিচ্ছে। এর কারণে বিশ্বব্যাপী সামাজিক অর্থনৈতিক সহ সকল ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ছে। বিশ্বরে ছোট ছোট দেশগুলো চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়ছে। বিশ্বের বড় বড় শক্তিশালী দেশগুলো তাদের ক্ষমতা দৃশ্যমান নিয়ে তারা বেশি সময় দিচ্ছে। আর তাদের কারণে বিশ্বের অবস্থা নাজুক। এমন যদি চলতে থাকে আগামী বিশ্বে অর্থনৈতিক ধসের কারণে অনেক ছোট ছোট দেশগুলো ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌছাবে। এমন সংকট কাটাতে এখুনি বিশ্ব নেতাদের মানবিক ও ঐক্য বদ্ধ হয়ে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা কাজ করার কোন বিকল্প নাই। আমরা প্রত্যাশা রাখি ; জাতিসংঘের ৭৯ তম সাধারণ অধিবেশনে আগামী বিশ্বের শান্তি প্রতিষ্ঠার রোডম্যাপ তৈরি করে প্রতিটা দেশের রাষ্ট্রপ্রাধনগন তাদের নিজ দেশের শান্তির বজায় রাখতে প্রতিশ্রুত অনুযায়ী কাজ করবে। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ভাষনে বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা বাংলাদেশের চলমান সমস্যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সমস্যা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগের বিষয়ে বক্তব্যে রাখার বিষয়ে আশা ব্যক্ত করেন এবং বাংলাদেশের ৯৫% মুসলিম দেশ হিসেবে এবং দেশের প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে ফিলিস্তিনিতে যে নারী শিশু সহ ইসরায়েল যে গনহত্যা চালাচ্ছে সেই বিষয়েও জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বিশ্বনেতাদের কাছে তুলে ধরবেন সেটিও প্রত্যাশা রাখি।
Leave a Reply