মুহাম্মদ তৈয়্যবুল ইসলাম:
রাঙ্গুনিায়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়নের জুমপাড়া সার্বজনীন ত্রিরত্ন বৌদ্ধ বিহারে গতকাল মঙ্গলবার সকালে প্রথম বারের মত কঠিন চীবর দানোৎসব ত্রিরত্ন ভিক্ষু এসোসিয়েশন বাংলাদেশ এর প্রধান উপদেষ্ঠা ভদন্ত ধর্মানন্দ মহাথের সভাপতিত্বে অনিষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সুখবিলাস ফিশারীজ এন্ড প্ল্যান্টেশনের চেয়ারম্যান ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা কৃষকলীগের প্রধান উপদেষ্ঠা আলহাজ্ব এরশাদ মাহমুদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রঘোনা কদমতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইদ্রিস আজগর, উপজেলা যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ পারভেস, সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার মনিরা চৌধুরী শিমু, ইউপি সদস্য জুয়েল চাকমা, আওয়ামীলীগ নেতা সজল কান্তি বিশ্বাস, বিজয় কার্বারী, যুবলীগ নেতা মো. মহির উদ্দিন রানা, মোহাম্মদ হাকিম, প্রিয়তোষ কান্তি দে প্রমুখ।
এদিন চীবর দানোৎসবে সকালে বুদ্ধ মুর্তি প্রতিষ্ঠা, বিহার উৎসর্গ, বুদ্ধ পূজা, সংঘদান ও অষ্টপরিস্কার দানানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় প্রধান অতিথি বলেন, বুদ্ধ ধর্মের পরিপূর্ণ ভাবে পালন করলে সমাজে কোন হিংসা, হানাহানি, অভাব-অনটন, অপরাধবোধ, লোভ থাকবে না। পূজনীন ভিক্ষুদের ধর্ম দেশনা শুধু শ্রবণ করলে হবে না, অনুসরণ করে ব্যক্তি জীবনে মেনে চলতে হবে। সকলে ধর্ম মেনে চলবেন এবং ছেলে মেয়েদের ধর্ম মানতে বাধ্য করবেন।
কঠিন চীবর দান এটা কিন্তু কষ্টের দান। দিনে দিনে চীবর বানিয়ে ভিক্ষুদের দান করা হয়। একসময় মিল-ইন্ড্রাষ্টি ছিলো না। সে নিয়মে রাঙ্গামাটি রাজ বন বিহারে এখন অনুসরণ করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন কারনে সব জায়গায় চীবর বানিয়ে দান করা সম্ভব হয়ে উঠে না। এখন ডিজিটাল পৃথিবী, এখন পাঁচ মিনিটের মধ্যে কাপড় পাওয়া যায়।
Leave a Reply