ইসমাইল ইমন, চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধিঃ
দেশের যে কোন দুর্যোগে বিএনপি জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোগে চন্দনাইশে গরীব দুঃস্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কালে ডা. শাহাদাত হোসেন এ কথা বলেন।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, অপরিকল্পিত লকডাউন লকডাউনের কারণে গরীব অসহায় দুস্থ মানুষই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারি ত্রাণ গরিবদের ঘরে পৌঁছে নি। করোনা মহামারীর শুরু হওয়ার পর থেকে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ নির্দেশে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জেলায় জেলায় গরিব, অসহায়, দুস্থ মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় এই এলাকার সাধারণ মানুষ করোনা মহামারির পাশাপাশি এই বর্ষার মৌসুমে অতিবৃষ্টির কারণে পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই চন্দনাইশ উপজেলা ও পৌরসভা এবং দোহাজারী এলাকার অসহায় ১৫০০(এক হাজার পাঁচশত)পরিবারের মাঝে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন ত্রাণ বিতরণ করছে। দেশের যে কোন দুর্যোগে বিএনপি জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে।
ডা.শাহাদাত হোসেন আরো বলেন,
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৮০ সালে এই চন্দনাইশে খাল খনন কর্মসূচি করছিলেন। এখানে শহীদ জিয়ার উন্নয়নের ছোঁয়া রয়েছে। শহীদ জিয়ার উন্নয়ন ছিল কৃষকের আইলে আইলে, শ্রমিকের বস্তিতে বস্তিতে। শহীদ জিয়ার সততা, দেশপ্রেম ও জনপ্রিয়তাকে তারা ডিঙ্গাতে পারছে না বলেই শহীদ জিয়া ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করছে সরকার।
ডা.শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, দেশে একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। সাধারণ জনগণ আজ অসহায়। করোনাকালীন সময়ে গরীব অসহায় মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি অর্থ ও ত্রাণ থেকে তারা বঞ্চিত হয়েছে। সরকার ও সরকারদলীয় লোকজন গরীব অসহায়, দুস্থ -মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা ও ত্রাণ লুটপাট করেছে।
ডা.শাহাদাত হোসেন আরো বলেন,সেই দিন ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভা মুক্তাঙ্গনে হওয়ার কথা ছিল। সেই প্রেক্ষিতে তৎকালীন বিএনপি সরকার সমাবেশ ও শেখ হাসিনার নিরাপত্তা সব ব্যবস্থা করছিল। কিন্তু তারা এক ঘণ্টার নোটিশে আওয়ামী লীগের কোন কোন নেতার মদদে মুক্তাঙ্গন থেকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশ করছিল। যাদের মদদে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে সমাবেশ হয়েছিল তাদেরকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসা করলে শেখ হাসিনাকে কারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করছিল তা বের হয়ে আসবে। তাই আমরা বলতে চাই একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় তথাকথিত ১/১১ মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন গং এর সাথে আওয়ামী লীগের যে সব সংস্কারবাদী নেতা ছিল তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে কারা জড়িত তা বের হয়ে আসবে এবং এটা ছিল মাইনাস টু ফর্মুলা একটি অংশ ।
তিনি আজ ২২ আগস্ট, রবিবার, দুপুরে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে চন্দনাইশ পৌরসভা ৩ নং ওয়ার্ড খারালা নিজ গ্রামে, বরকল বরমা বাংলাবাজার এলাকায়, বলতলী ইউনুচ মার্কেট এবং দোহাজারী পৌরসভা ২ নং দিঘীর পাড় এলাকায় অসহায় দুস্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কালে এ কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও চন্দনাইশ উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল মাবুদ, চন্দনাইশ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মন্জুর আলম তালুকদার, চন্দনাইশ পৌরসভা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ ইখতিয়ার হোসেন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক যথাক্রমে মোঃ শহীদুর রহমান,বাহাউদ্দীন চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, আরিফুর রহমান মারুফ, ফরিদ ভূয়া , আবদুর রহিম পৌরসভা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোঃ জহুরুল আলম শহীদ,মোঃ অলি হোসেন মুন্সি,দোহাজারী পৌরসভা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক কামাল উদ্দিন,পৌরসভা বিএনপির সদস্য আবু সালেক,মোঃ হাবিবুর রহমান,মোঃ সেলিম উদ্দীন,বৈলতলী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মোঃ সেলিম ভূইয়া, পৌরসভা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোঃ আজম খাঁন,উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম টুটুল,দোহাজারী যুবদলের সাবেক আহবায়ক মোঃ ইফতেখার উদ্দিন সুমন,চন্দনাইশ পৌরসভা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোঃ আবদুল মান্নান,জিল্লুর রহমান খোকন,উপজেলা স্বেচ্চাসবক দলের আহববাক মোনায়েম খান, সদস্য সচিব জাহাংগীর আলম, পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সেলিম উদ্দিন, সদস্য সচিব সাইফুল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবদু রহমান, সাদ্দাম হোসেন,
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ দপ্তর সম্পাদক ইব্রাহিম চৌধুরী,ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রহমান, উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক যথাক্রমে মোঃ সেলিম উদ্দীন, মোঃ ফারুক, হামিদ,জাগির,রহিম উদ্দীন, ইউসুফ, পৌরসভা ছাত্রদলের আহবায়ক রাজীব উদ্দিন চৌধুরী, যুগ্ম আহবায়ক মোঃ রাসেল, মোঃ ইমন,সদস্য জাবেদ, জিতু, হেফাজ,প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
Leave a Reply