পটিয়ার ইতিহাস ঐতিহ্য এক হাজার বৎসরের যেটি বাংলাদেশে একমাত্র সাবেক মহকুমা শহর পটিয়া।
স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের সব মহকুমা বঙ্গবন্ধু নির্দেশিত জেলা রূপান্তর হলেও ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যার পর পটিয়া জেলা বাস্তবায়ন হয়নি।
৭৫”পরবর্তী সামরিক সরকার স্বৈরাচার সরকার ক্ষমতায় থাকার পর পটিয়ার উপর বিরূপ আচরন করেছেন। আমাদের নেতা নবনির্বাচিত মাননীয় সংসদ মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী’র নেতৃত্বে আমার বড় ভাই আলী আকবর সিদ্দিকী সহ পটিয়ার অনেক সংগ্রামী নেতারা সেদিন পটিয়াকে জেলা ঘোষণা করার জন্য অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। কিন্তুু প্রতি বারেই জাতীয় নির্বাচন আসলে বিভিন্ন দলের প্রধানরা পটিয়াকে জেলা ঘোষণা করার প্রতিশ্রুতি দেন পরবর্তী তৎকালীন সরকার প্রধানরা সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি।
এই পটিয়ায় খ্যাতিমান অনেক মহাপুরুষ ও পীর আউলিয়া,সাধু সন্নাসী জন্মগ্রহণ করেন এবং পটিয়ার জনপদকে তারা সন্মানিত করেছেন।পটিয়াকে উপমহাদেশে পরিচিত করেছেন।বাংলাদেশ নয় এই উপমহাদেশে এখনো অনেকে বিভিন্ন স্থানে বিচরণ করে চলছেন। যার সুনাম এখনো প্রশংসনীয়।
সুর্দীঘকাল ধরে পটিয়া প্রেমী কোন সংসদ সদস্য পটিয়ার মানুষের কপালে জুটেনি। গত সংসদ সদস্য যেভাবে পটিয়া নিয়ে মানুষের মাঝে পটিয়া প্রেমী দেখায়েছিলেন বাস্তবে তা প্রতিফলন হয়নি। তিনি তার একগুয়েমি মনোভাবে তারমত কাজ করেছেন। তিনি পটিয়ার কোন শ্রেনী পেশার মানুষের পরামর্শ নেন নি। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর একবার পটিয়ার মানুষের মুখোমুখি হয়েছিলেন পটিয়ার মানুষের কাছে অভিমত জানতে চেয়েছিলেন পরবর্তী আবারো মুখোমুখি হওয়ার কথা থাকলেও তিনি আসেননি।পটিয়া আজ ইতিহাস ঐতিহ্য দিকে ধংব্সের প্রান্তে।
তিনি সবসময় পটিয়া কে নিয়ে উচ্চাভিলাষী বক্তব্য রাখতেন পটিয়াকে আধুনিক পটিয়া গড়বেন পটিয়ার মানুষকে সবসময় ওয়াদা করেছিলেন কিন্তুুু পটিয়ার মানুষের সবচেয়ে যে বিষয় গুলি জরুরী উন্নয়ন প্রয়োজন ছিলো তা বাস্তবায়ন হয়নি।
“আমরা পটিয়ার–পটিয়া সকলের” এই শ্লোগান কে সামনে রেখে পটিয়ার মানুষের নিম্নে দীর্ঘদিনের দাবী পূরণে দৃষ্টিগোচরে আনতে পটিয়া থেকে নবনির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য পটিয়ার গনমানুষের আশা আঙ্খাকা প্রতিফলনের বাতিঘর, সর্বজন শ্রদ্ধেয়, পটিয়ার একজন খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ বর্ষীয়ান জননেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী’র কাছে উপস্থাপন করলাম।
★পটিয়াকে আগামী ৫০ বৎসর সামনে রেখে মাস্টারপ্ল্যানে আওতায় আনার প্রয়োজন।
★পটিয়ায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজন।
★পটিয়া একটি পলিট্যাকনিকেল কলেজ প্রয়োজন।
★পটিয়া একটি বিনোদন কেন্দ্র প্রয়োজন।
★পটিয়া একটি পুর্নাঙ্গ স্টেডিয়াম প্রয়োজন।
★পটিয়া হাসপাতালকে আধুনিক ২৫০ শয্যা উন্নতিকরণ প্রয়োজন।
★পচিম পটিয়া মানুষের জন্য মাল্টিপাস ডে-নাইট বাজার প্রয়োজন।
★পটিয়ায় একটি বালক বিদ্যালয় সরকারিকরণ প্রয়োজন।
★গরু চুরি থেকে শুরু করে বিভিন্ন চুরি রোধে পটিয়ার বিভিন্ন পয়েন্টে সিসি ক্যামরায় আওতায় আনা প্রয়োজন।
★অসহায় দুস্থ পুরুষ এবং মহিলাদের কর্মসংস্থানের জন্য তাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষনের ব্যবস্থাকরণ প্রয়োজন।
★পটিয়া শহরকে নান্দনিক স্মার্ট শহর গড়ে তোলা প্রয়োজন।
★ পটিয়া পৌরসভাকে ১৫ ওয়ার্ডে বর্ধিত করণ প্রয়োজন।
★ পটিয়া পৌরসভা ময়লা আর্বজনা জন্য ডাম্পিং ষ্টেশন প্রয়োজন।
★ পটিয়া পৌরসভা কে পরিচ্ছন্ন শহর গড়ে তোলার লক্ষ্যে জনবল বৃদ্ধি ও সরকারি আর্থিক বরাদ্দ প্রদানে সহযোগিতা প্রয়োজন।
★ পটিয়া লবন শিল্পকে আরো ব্যাপক পরিধি বাড়ানোর প্রয়োজন।
★ পটিয়ার বেকার সমস্যা দূরীকরণে সরকারি অর্থায়নে একটি শিল্প জোন গড়ে তোলার প্রয়োজন।
★পটিয়া শহরে বিভিন্ন পয়েন্টে জনসাধারণের জন্য উন্নত টয়লেট স্থাপন করা প্রয়োজন।
★ পটিয়ার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রধান সড়কগুলি প্রসস্থকরণ প্রয়োজন।
★ পটিয়ায় এখনো অনেক রাস্তা ব্রীজ কালভার্ট রিটার্নিং ওয়াল, পুরাতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। এই বিষয়গুলি যেখানে নির্মান জরুরী তা বাস্তবায়নে প্রয়োজন।
★ পটিয়ায় বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রধান প্রধান সড়কে জনসাধারণের সুবিধাত্বে জন্য বাতি স্থাপন প্রয়োজন।
★পটিয়ার সাথে রাঙ্গুনিয়া ও বান্দরবানের সংযোগ স্থাপনে পূর্ব হাইদগাঁও শেষাংশ থেকে কানেক্টেড করার প্রয়োজন।
★পটিয়ায় শিক্ষা ব্যবস্থা কে আরো গতিশীল এবং উন্নতমানের শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রয়োজন।
★ পটিয়ায় বেকার সমস্যা দুরি করণে সরকারি বেসরকারি ভাবে চাকুরী প্রদানে উদ্যেগ গ্রহনে জরুরি প্রয়োজন।
★পটিয়ায় অসহায় গরীব দুস্থ মানুষের কল্যানে একটি ফাউন্ডেশন স্থাপিত করার প্রয়োজন।
★ পটিয়া থেকে মাদক, জুয়া কিশোরগ্যাং সহ বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ চিরতরে বন্ধ করার পদক্ষেপ গ্রহন করার প্রয়োজন।
★পটিয়ার ঐতিহ্য সাহিত্য সাংস্কৃতিক ক্রীড়া সমাজিক নাটক এগুলি আবার ফিরিয়ে আনার প্রয়োজন।
★ পটিয়ার ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণে একটি উন্নত যাদুঘর স্থাপন করার প্রয়োজন। যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম পটিয়ার ইতিহাস জানার সুযোগ থাকবে।
পটিয়াকে আধুনিক স্মার্ট পটিয়া গড়তে উপরোক্ত পটিয়াবাসীর এই দাবীগুলি পূরণ হলে ইনশাআল্লাহ পটিয়া হবে চট্রগ্রামের সেরা একটি উপজেলা।
আমাদের বিশ্বাস, পটিয়ার হারানো ঐতিহ্য ও গৌরব ফিরিয়ে আনতে আমাদের নেতা মাননীয় সংসদ সদস্য, দূরদর্শী জননেতা মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী জাতির পিতার কন্যা দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পটিয়াকে উন্নত সমৃদ্ধ ও স্মার্ট পটিয়া আগামী দিনে পটিয়াবাসীকে উপহার দিবেন।
এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।
লেখকঃ
সভাপতি
পটিয়া পৌরসভা আওয়ামী যুবলীগ।
Leave a Reply