নিউজ ডেস্কঃ
বঙ্গবন্ধু মুক্তি ও স্বাধীনতার মন্ত্রনাদাতা
তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে হবে।
“এসো স্বপ্ন দেখাই, আলো ছড়াই, একসাথে” স্লোগান নিয়ে মুজিব বর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমির উদ্যোগে আয়োজন করা হয় ৩ দিন ব্যাপি বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক উৎসব । গত ২৫, ২৬ ও ২৭ মার্চ পটিয়া ক্লাব মুক্তমঞ্চে আয়োজিত ৩ দিন ব্যাপী এই উৎসবে ছিল র্যালি, মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র প্রদর্শনী, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা, মুক্তিযুদ্ধের গল্প, বিভিন্ন সংগঠনের দলীয় পরিবেশনা, আলোচনা ও কথামালা, মুক্তিযুদ্ধের গান, নৃত্য, আবৃত্তি, চিত্রনাট্য, মোমবাতি প্রজ্জ্বল, পুষ্পমাল্য, কবি গান ও বঙ্গবন্ধু কর্ণার। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী । তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মুক্তি ও স্বাধীনতার মন্ত্রনাদাতা । তিনি আমাদের অহংকার। বিংশ শতাব্দীর এক মহান নেতার নাম বঙ্গবন্ধু । বঙ্গবন্ধু শুধু একটি নাম নন, তিনি একটি জাগ্রত ইতিহাস। তাই তরুণ প্রজন্মকে স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী জানতে হবে। সেই সাথে জানতে হবে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস । অনুষ্ঠানের শুরুতেই শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন একাডেমির নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ ফারুক রবি । উৎসবে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর আবু জাফর চৌধুরী । তিনি বলেন, অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা আমাদের রক্ষা করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে দেশ গড়ার কাজে অংশগ্রহন করতে হবে। এর মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব। বঙ্গবন্ধু আমাদের শিখিয়ে গেছেন কীভাবে শত বাধা বিপত্তি পেরিয়ে লক্ষে পৌঁছা যায়। তাই আমাদের বঙ্গবন্ধুর মত ত্যাগ স্বীকার করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। একাডেমির সদস্য শিমুল মল্লিকের সঞ্চালনায় আলোচনা ও কথামালায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ চিকিৎসক ডা. নাসির উদ্দীন, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লি. ডিএমডি মাহবুবুল আলম, চট্টগ্রাম জেলা বেসরকারী কারা পরিদর্শক আবদুল হান্নান লিটন, পটিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোফরান রানা, পটিয়া ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার কামাল রাজিব, এবিটস্ পটিয়ার সভাপতি ইদ্রিচ চৌধুরী অপু, অধ্যাপক শান্তপদ বড়ৃুয়া, ডা. সৈয়দ সাইফুল ইসলাম, পটিয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাকিম রানা, পটিয়া ক্লাবের ক্রীড়া সম্পাদক নুরুল হাসান সেলিম, একাডেমির নির্বাহী সদস্য বিশ্বজিৎ দাশ, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর আলম, ক্রিড়া সংগঠক প্রণব দাশ, ব্যাংকার আরিফুল ইসলাম রানা, একাডেমির সমন্বয়ক এমরান হোসেন রাসেল, সুকান্ত দাশ, শিবু মল্লিক প্রমুখ। ২৫ তারিখ বিকাল ৪টায় বেলুন উড়িয়ে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক উৎসবের অনুষ্ঠান শুরু হয় । ৩ দিন ধরে চলে মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র প্রদর্শনী, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা, মুক্তিযুদ্ধের গল্প, মুক্তিযুদ্ধের গান, নৃত্য, আবৃত্তি, চিত্রনাট্য । ২৬শে মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ৫০টি মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের করা হয়। উৎসবের ৩ দিনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দলীয় পরিবেশনা নিয়ে অংশগ্রহন কওে পটিয়া ও চট্টগ্রাম শহরের ১৭টি সংগঠন। একক গান ও আবৃত্তি পরিবেশন গৌতম চৌধুরী, মাইনুল আজম চৌধুরী, হোসনে আরা তারিন, শিবু মল্লিক, অগ্নিলা শর্মা দিয়া ও ইপা শীল, মুক্তা দেবী । অনুষ্ঠানের ফাঁকে অতিথিরা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার বিতরণ করেন।
Leave a Reply