প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ
‘সৃজনশীলতায় ও উৎকর্ষতায় বিতর্ক’ স্লোগানকে সামনে রেখে পটিয়া ও চট্টগ্রামের ৪৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩৭০ ক্ষুদে বিতার্কিকদের অংশগ্রহণে হয়ে গেল প্রত্যয় বিতর্ক উৎসব। গত শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) পটিয়া কমিউনিটি সেন্টারে আনন্দঘন পরিবেশে ২য় বারের মতো অনুষ্ঠিত হয় এই বিতর্ক উৎসব। বিতর্ক উৎসবে ছিল বিতর্ক কর্মশালা, ক্যারিয়ার টক্, প্রদর্শনী বিতর্ক, জুটি বিতর্ক, প্লানচেট বিতর্ক, সনাতনী বিতর্ক, সংসদীয় বিতর্ক, বারোয়ারী বিতর্ক, আঞ্চলীক বিতর্ক, আন্ত: স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতা, কলেজ বিতর্ক প্রতিযোগিতা, বিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রত্যয় বিতর্ক উৎসবে পটিয়া ও চট্টগ্রামের ৪৮ টি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৩৭০ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করে।
শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক চর্চার বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমির এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন দেশ সেরা সব বিতার্কিক। সেই সাথে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল ব্যক্তিরা তাদের সফলতার গল্প শোনান। প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমি নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ ফারুক রবির সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সদস্য এরশাদ হোসাইনের সঞ্চলনায় কথামালায় অতিথি ও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গবেষক ড. শাহ নেওয়াজ চৌধুরী, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ পরিচালক ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি’র ভাইস প্রেসিডেন্ড মোহাম্মদ আমীর হুসাইন, বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক এম হোসাইন রানা, বাংলাদেল ডিবেট ফেডারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক সাইফুদ্দিন মুন্না, প্রত্যয়ের নির্বাহী সদস্য নাজিম উদ্দিন পারভেজ, বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক রিদোয়ান হক, দৃষ্টি চট্টগ্রামের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্না মজুমদার, ইঞ্জিনিয়ার রিদোয়ান আলম আদনান, একাডেমির সমন্বয়ক এমরান হোসেন রাসেল প্রমুখ।
চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ পরিচালক ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া বলেন, বিতর্ক চর্চার মাধ্যমে যুক্তিবাদী, সৃজনশীল ও মেধাবী নেতৃত্ব তৈরি হয়। যার মাধ্যমে সুষ্ঠু ও মেধাবী সমাজ নির্মাণ সম্ভব। পড়ালেখার পাশাপাশি শিক্ষা সহায়ক কার্যক্রম হিসেবে বিতর্ক চর্চা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যার মাধ্যমে মেধার সঠিক বিকাশ ঘটে। নতুন প্রজন্মকে যুক্তিবাদী হিসেবে গড়ে তুলতে বিতর্ক চর্চার কোন বিকল্প নাই। বিতর্ক চর্চা যেকোন বিষয় নিয়ে শুধু পড়াশোনার বইয়ের মধ্যে নয়, তার বাইরেও জ্ঞানের গভীরতা বাড়াতে সহায়তা করে।
ড. শাহ নেওয়াজ চৌধুরী বলেন, একজন শিক্ষার্থী এই দেশের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে এই দেশেই গবেষণা করুক। আমাদের সমস্যা আমাদেরই সমাধান করতে হবে। তাই স্কুল পর্যায় থেকে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান শিক্ষার উপর জোর দিতে হবে। গবেষনার মান বাড়াতে হবে। সেই বিতর্ক চর্চার মত সৃজনশীল কর্মকাণ্ড চালু রাখতে হবে।
প্রত্যয়ের নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ ফারুক রবি বলেন, প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমি ১৪ বছর ধরে পটিয়াতে শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করছে। প্রত্যয় বিতর্ক উৎসব বিতর্ক নিয়ে পটিয়া তথা দক্ষিণ চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় আয়োজন। এখানে দেশ সেরা বিতার্কিকরা অংশ নিয়েছে। আমরা চাই, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিতর্কের চর্চা হোক। তার জন্য আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করবো।
বিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়কে হারিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়। কলেজ বিতর্কে চট্টগ্রাম কলেজ ও হাজেরা-তুজ ডিগ্রী কলেজ ড্র করে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় আয়োজিত এই বিতর্ক উৎসবে স্ট্রাটেজিক পার্টনার হিসেবে ছিল পটিয়া উপজেলা প্রসাশন, দৃষ্টি চট্টগ্রাম ও নান্দনিক পটিয়া। পরে অংশগ্রহণকারী ভবিষ্যৎ ক্ষুদে বিতার্কিকদের সনদপত্র ও পুরষ্কার প্রদান করা হয়। সেই সাথে ৩টি বিদ্যালয়কে বেস্ট পার্টিসিপেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।।
Leave a Reply