১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন হয়েছিলো
অসাম্প্রদায়িক চেতনার ভিক্তিতে তাই খেয়াল রাখতে হবে এই দেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। মানবতার এক অন্য প্রদর্শন,যার নেই কোনো ভেদাভেদ, জাতি,
বর্ণ,ধর্ম, নির্বিশেষে সম্প্রাদায়িক জাতীয় চেতনায় গড়া এক মহামিলনের মেলা। আমাদের দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান রক্ষার্থে মানব জাতির সুশীল শান্তি সমাজ বিনির্মাণে সকল ধর্মের লোক আবাহমানকাল থেকে একসঙ্গে বসবাস করে আসছেন এবং নিজ নিজ ধর্মীয় অনুস্টান পালন করেছেন। যা বিশ্বের এক অনন্য ইতিহাস। যে দেশে,যে ভূখন্ডে নানা জাতি নানা বর্ণের, নানা ধর্ম সংস্কৃতির সম্প্রদায়ের লোকের বসবাস,সেটাই মানবতার আসল পরিচয়। জাতীয় জীবনে, জাতীয় ধর্মীয় সংস্কৃতিতে সার্বজনীন মিলনের মেলাবন্ধনে মানুষে মানুষে সৌহার্দ্য, সৌভ্রাতিত্ব, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বন্ধন গড়ে তোলার এক অনন্য দৃষ্টান্তে অবদান রাখেন এইখানে সকল ধর্ম, বর্ণের মানুষের বসবাস। প্রত্যেকেই তাদের নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসব নির্বিঘ্নে পালন করে আসছেন আদি কাল থেকে এবং জাতি ভেদে সকলে যার যার ধর্মীয় উৎসব পালন করবে, সাম্প্রতিক কুমিল্লা ঘটনা নিয়ে সারাদেশে জ্বালা পোড়াও যে খেলায় কিছু উগ্রবাদী মেতে উঠেছো তা আদৌ কাম্য নয়, একটা কথা মনে রাখতে হবে ইন্ধন উস্কানীমূলক কর্মকান্ডে দেশের জাতির জন্য মঙ্গল জনক নয়। যে বা যারা এই গুলো করেছেন তারা বিভিন্ন উগ্রবাদীদের ইন্ধন উস্কানিতে করেছেন,দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে জান মাল ও জ্বালা পোড়াও করে নিজেদের ক্ষতি করছেন।সেই যেই ধর্মের মানুষ হোক না কেন, তারা দেশে জাতির শত্রু, দেশে শান্তি কামী মানুষের জান মাল নিরাপত্তা ব্যবস্থা করার আমাদের প্রতিটা নাগরিক দের কর্তব্য তাই আসুন আমরা কাধে কাধ মিলিয়ে এই উগ্রবাদীদের প্রতিরোধ করি। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করি,
লেখকঃ-
ডেপুটি গভর্ণর সদর দপ্তর।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন।
Leave a Reply