চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে চলন্তবাসে এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এর মধ্যে চালক-হেলপারসহ বাসের ৩ জন রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (২৫ জুন) রাতে সীতাকুণ্ড, মীরসরাই ও নগরীতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তবে এ ঘটনায় জড়িত আরও ৩জন পলাতক রয়েছে বলে পুলিশ জানায়। ধর্ষিতার তরুণী নগরীর একটি পোষাক কারখানার শ্রমিক এবং তার বাড়ি সীতাকুণ্ড উপজেলায়।
আটককৃতরা হল- সীতাকুণ্ড উপজেলার আশরাফুল ইসলাম ( ২৩), শাহাদাত হোসেন ( ১৯), নিজামউদ্দিন রানা ( ২০), মো. বেলাল হোসেন ( ২৩), মো. ইসমাঈল (৩১) এবং মীরসরাই উপজেলার হাইতকান্দি ইউনিয়নের কুরুয়া গ্রামের মো. সাগর হোসেন ( ২২)।
এর আগে গত বুধবার (২৩ জুন) রাত থেকে বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) ভোর পর্যন্ত সীতাকুণ্ড থেকে মীরসরাই পর্যন্ত চলন্ত বাসে দফায় দফায় গণধর্ষণের শিকার হন ২১ বছর বয়সী ওই তরুণী।
পরে শুক্রবার তরুণী পালিয়ে গিয়ে প্রথমে সীতাকুণ্ড থানায় অভিযোগ করতে গেলে তারা মিরসরাই থানায় পাঠিয়ে দেয়।মিরসরাই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পরপরই পুলিশ অভিযান শুরু করে।
মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ মুজিবুল রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। শুক্রবার রাতে তিনি পাঠক ডট নিউজকে জানান, রানা নামে বাসের একজন স্টাফের সাথে ওই তরুণীর পূর্ব পরিচয় ছিল। সে সুবাদে মেয়েটি বুধবার রাতে মেয়েটি কারখানা থেকে বাসে করে বাসায় ফেরার সময় রানা তাকে ফুসলিয়ে মিরসরাইয়ে থেকে ঘুরে আসার কথা বলে নিয়ে যায়। লোকাল বাসটি সীতাকুণ্ডে গিয়ে আর যাবে না বলে সব যাত্রী নামিয়ে উল্টো হাফিজ জুট মিল এলাকায় যায়। এসময় চলন্ত বাসে ছয়জন মিলে তাকে ধর্ষণ করে। পরে মীরসরাই উপজেলা সাহেরখালী এলাকায় নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে দুদিন ধরে একের পর এক ধর্ষণ করে।
তিনি জানান, এঘটনার সাথে বাসের চালক-হেলপারসহ ৩ জন এবং তাদের আরও ৬সহযোগীসহ মোট ৯জন জড়িত বলে আমরা জানতে পেরেছি। শুক্রবার রাতে সীতাকুণ্ড ও মিরসরাইয়ে অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিকটিম ওই তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। আটক হওয়া ৬ জনকে আজ শনিবার আদালতে হাজির করে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাদের মধ্যে বাস চালক হেলপারসহ ৩ জন রয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক বলেন, বাসে গণধর্ষণের অভিযোগ পেয়েই আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে একাধিক টিমকে মাঠে নামানো হয়। একে একে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।’
Leave a Reply