শহরে বসবাস করা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগতদের জন্ম নিবন্ধন তৈরীর ক্ষেত্রে বিভিন্ন জটিলতা নিরসনের দাবি জানান- মানবাধিকার কর্মী মুহাম্মদ আলী।
৩ অক্টোবর এক বিবৃতিতে মুহাম্মদ আলী বলেন, নতুন নিয়মে একটি শিশুর জন্ম নিবন্ধনে প্রয়োজন পড়ছে বাবা মায়ের জন্ম নিবন্ধন সনদ। আবার বাবা মায়ের জন্ম নিবন্ধন করতে হলে লাগছে তাদের বাবা মায়ের জন্ম নিবন্ধন সনদ। অর্থাৎ একজন ভর্তিচ্ছু শিশুর জন্য দাদা দাদির জন্ম নিবন্ধন সনদেরও প্রয়োজন পড়ছে। জন্ম নিবন্ধনের বিভিন্ন জটিল প্রক্রিয়ার কারণে এ বছর শিশুদের স্কুলে ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
ভর্তির ক্ষেত্রে শিশুদের অনলাইন জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করায় এই বিপত্তি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিশেষ করে বিভিন্ন জেলা থেকে আগতদের জন্মসনদ তৈরীতে বেশী ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
জীবিকা নির্বাহের জন্য বিভিন্ন জেলা থেকে শহরে বসবাস করছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। আর এই সব মানুষেরা বিভিন্ন কল কারখানায় কাজের প্রয়োজনে জাতীয় পরিচয় পত্র/ জন্ম নিবন্ধন ও কমিশারের সনদ পত্র একান্ত প্রয়োজন হয়,
আর এই সব তৈরির ক্ষেত্রে বর্তমান পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি।
তিনি আরও বলেন, গ্রাম থেকে মানুষ শহরে আসে শুধুমাত্র জীবিকার টানে আর এই জীবিকার প্রধান বাধা সৃষ্টি হচ্ছে জন্ম সনদের জন্য। রোহিঙ্গা ইস্যু কে কেন্দ্র করে জন্ম সনদ অনলাইনের উদ্যোগ নেওয়ায় সরকার কে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাপাশি জন্ম সনদ তৈরির ক্ষেত্রে সহজলভ্য করার অনুরোধ জানান- মুহাম্মদ আলী।
Leave a Reply