সন্দ্বীপ বিমান বন্দর বাস্তবায়ন পরিষদেরর আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য ও মোমেনা সেকান্দর স্কুল এর প্রতিষ্ঠাতা ক্যাপ্টেন সেকান্দর হোসেনের ছেলে পুরনো সন্দ্বীপ টাউনের বাসিন্দা জনাব গোলাম রসুলের তত্বাবধানে উক্ত সাইনবোর্ডটি স্থাপিত হল।
সন্দ্বীপে বিমানবন্দরের জন্য পাকিস্তান আমলে জমিও অধিগ্রহন করা হয়েছিল
পাকিস্তান আমলে সন্দ্বীপে বিমানবন্দর স্থাপনের জন্য ১৯৬৮/৬৯/৭০ সালের দিকে চট্টগ্রামে কর্মরত এলএ অফিস প্রায় ৩কানি জমি অধিগ্রহন করেছিল বলে সোনালী সন্দ্বীপকে জানিয়েছেন মোমেনা সেকান্দর স্কুল এর প্রতিষ্ঠাতা ক্যাপ্টেন সেকান্দর হোসেনের ছেলে জনাব গোলাম রসুল। তিনি বলেন আমার জানা মতে- ১ কানি জমি হরিশপুরের সাবেক চেয়ারম্যান মুজাম্মেল হোসেন মুকতার , ১ কানি জমি আমার পিতা ক্যাপ্টেন সেকান্দর হোসেন ও ১ কানি জমি শাহআলম তালুকদার গাং এবং সুলতান তালুকদার থেকে অধিগ্রহন করা হয়েছিল।
দীর্ঘদিন পর আবারও এই দাবীতে সোচ্ছার হওয়া সন্দ্বীপ বিমানবন্দর বাস্তবায়ন পরিষদের দাবীর প্রতি একাত্মতা ও সফলতা কামনা করে প্রবীন এই সন্দ্বীপী বলেন, পাকিস্তান আমলে সন্দ্বীপের মানুষ যদি ১৬ টাকা দিয়ে হেলিকপ্টারে চড়তে পারে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে কেন আকাশপথের সুবিধা থেকে মূলভূখন্ড হতে বিচ্ছিন্ন সন্দ্বীপের মানুষ কেন বঞ্চিত হবে?
জনাব গোলাম রসুল প্রসঙ্গক্রমে সোনালী সন্দ্বীপকে বলেন, সন্দ্বীপ বিমানবন্দর বাস্তবায়ন পরিষদের আহবায়ক বিমানের সাবেক ডেপুটি চীপ ইঞ্জিনিয়ার আমার সহপাঠি ও বন্ধু। তিনি এই বয়সে এসে সন্দ্বীপবাসীর বিশেষ করে প্রবাসী ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসরত নারী-শিশু ও বয়োবৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের কথা ভেবে সন্দ্বীপ বিমানবন্দর স্থাপনের দাবী জানিয়েছে এজন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি বলেন, সন্দ্বীপ থেকে চট্টগ্রাম দেশের অন্যান্য অঞ্চলে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার মানুষ বিভিন্ন নৌ-মাধ্যমে যাতায়াত করে তার মধ্যে অনেকেরই বিমানে ভ্রমন করার সামর্থ আছে। তাই এই দাবীটি আকাশ কুসুম কল্পনা নয় বাস্তব। নিজের জীবদ্দশায় সন্দ্বীপে বিমান বন্দর দেখার প্রত্যাশা এই প্রবীন সন্দ্বীপীর।
লেখকঃ উপসম্পাদক, দৈনিক একুশের বাণী, প্রতিষ্ঠাতা, মাসিক সোনালী সন্দ্বীপ
Leave a Reply