সিলেটে প্রাকৃতিক দুর্যোগে শিলাবৃষ্টিজনিত কারনে ক্ষতিগ্রস্থ এক অসহায় মাতা ও কিছু অসহায় পরিবারকে চট্টগ্রামের রাউজানের ১০ নং পূর্বগুজরার বৃহত্তর হোয়ারাপাড়া ও ধুমারপাড়ায় প্রতিষ্ঠিত মনচন্দ্র-সুশীলা বিমান-পটু ফাউন্ডেশন ও রেনুপ্রভা-প্রিয়রঞ্জন ফাউন্ডেশন বুধবার ১০ এপ্রিল সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আখালিয়া নয়াবাজারস্থ এলাকায় ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়।
উক্ত মানবিক কার্যক্রমে সভাপতিত্ব করেন রেনুপ্রভা প্রিয়রঞ্জন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, সিলেট চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশিপ ফাউন্ডেশনের মহাসচিব, মানবতার ফেরিওয়ালা, সাংবাদিক উৎফল বড়ুয়া। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক, নতুন বাজার এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বী আব্দুল খালিক,উদ্বোধন করেন রেনুপ্রভা প্রিয়রঞ্জন ফাউন্ডেশনের পরিচালক শেলু বড়ুয়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবের নির্বাহী সদস্য সাংবাদিক শাহিন আহমেদ, আরো উপস্থিত ছিলেন সেতু বড়ুয়া মুক্তা, সীমান্ত বড়ুয়া জয় প্রমুখ।
যাঁদের আর্থিক সহযোগিতায় আমাদের আজকের ঈদ উপহার বিতরণ “মনচন্দ্র-শুশীলা, বিমান-পটু ফাউন্ডেশন এর পরিচালক কুনাল কান্তি বড়ুয়া, তাপস কান্তি বড়ুয়া, অরুন বড়ুয়া, তরুণ বড়ুয়া ও রেনুপ্রভা প্রিয়রঞ্জন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান লায়ন উজ্জ্বল কান্তি বড়ুয়া তাঁদের পিতা-মাতা’র নামে প্রতিষ্ঠিত ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহযোগীতায় এই মহৎকর্ম সম্পাদন করা হয়। দেশের বিভিন্ন দুর্যোগকালীন সময়ে সহযোগীতা অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে বিভিন্ন মুখী মানবিক কাজ সম্পন্ন করে যাচ্ছেন।
উক্ত ফাউন্ডশন বৈশ্বিক মহামারি করোনাকলীন সময়ে দেশব্যাপী অক্সিজেন সংকটে অক্সিজেন দান সহ নিজ গ্রাম, চট্রগ্রাম শহর, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মানুষের মাঝে মানবিক উপহার বিতরণ করে চলেছেন।
মানবিক কার্যক্রমে বক্তারা বলেন, মানুষের বাঁচার জন্য উপায়-উপকরণ দরকার। একই সঙ্গে দরকার খাদ্য। এ জন্য সর্বস্তরের মানুষ বিশেষ করে যাদের সামর্থ আছে তাদের এগিয়ে আসতে হবে।
যথাসম্ভব সাহায্য-সহযোগিতা প্রদান করতে হবে। এটা শুধু অধিকতর সুবিধাপ্রাপ্ত ও সম্পন্ন মানুষ হিসাবে তাদের কর্তব্য নয়, ধর্মীয় অপরিহার্য দায়িত্বও বটে। দুস্থ ও অভাবীদের সাহায্য করা, তাদের প্রয়োজনে এগিয়ে আসা প্রতিটি মানুষের নৈতিক দায়।
আমরা মনে করি, শুধু রাষ্ট্রীয়ভাবে নয়, সমাজের বিত্তশালীদেরও এক্ষেত্রে এগিয়ে আসা জরুরি। বিশেষ করে আমাদের নজর দিতে হবে ছিন্নমূল খেটে খাওয়া মানুষ,শিশু ও বয়স্কদের প্রতি। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। সমাজে সে মানুষেরই একটা অংশ গরিব-দুস্থ। তারা আমাদের সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার ন্যূনতম মৌলিক অধিকারগুলো তাদেরও ন্যায্যপ্রাপ্য। তাই গরিব-অসহায়, দুস্থের প্রতি আন্তরিক ভালোবাসা প্রদর্শন ও সহানুভূতিশীল হওয়া অত্যাবশ্যক। আসুন আমরা মানবিক মূল্যবোধ থেকে সবাই মিলে অসহায় ছিন্নমূল মানুষের পাশে সামর্থের ভিত্তিতে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করি।
Leave a Reply