প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমির শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিশেষ আয়োজন “প্রত্যয় সাংস্কৃতিক উৎসব” গতকাল ২ ডিসেম্বর, শনিবার বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসবে অংশ নেন প্রত্যয়ের বিভিন্ন বিভাগের ২৪৫ জন শিক্ষার্থী। পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বংশীবাদক উস্তাদ আজিজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমির নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ ফারুক রবি।
উস্তাদ আজিজুল ইসলাম বলেন, সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমেই আলোকিত মানুষ গড়া সম্ভব।সকল প্রকার অপশক্তিকে প্রতিহত করার অন্যতম উপায় হল সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা। তাই সকল প্রকার অপশক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে সংস্কৃতি চর্চার কোন বিকল্প নেই। অনেক রস বৈচিত্রে পরিপূর্ণ আমাদের মাতৃভুমি বাংলাদেশ। অজস্র শিল্প ও সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ আমাদের এ প্রিয় দেশ। আমাদের শেকড় শিল্প-সংস্কৃতি ছাড়া দেশের ইতিহাস পরিপূর্ণতা দাবি করতে পারে না। তাই এগুলোর নিয়মিত চর্চা করতে হবে। একাডেমির নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ ফারুক রবি বলেন, প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমি দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে পটিয়া তথা চট্টগ্রামের মধ্যে একটা অবস্থান করে নিয়েছে। প্রত্যয়ে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের সৃজনশীল ও মননশীল কাজে নিয়জিত রাখতে পারছে। একাডেমি সিনিয়র সদস্য শিবু মল্লিক এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন প্রত্যয়ের সমন্বয়ক এমরান হোসেন রাসেল, সিনিয়র সদস্য সুকান্ত দাশ, নিতাই পদ নাথ, জয় শীল, নীহারিকা পাল, হৈমন্ত দে।
সাংস্কৃতিক উৎসবে প্রত্যয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা আলাদা ভাবে তাদের পরিবেশনা নিয়ে অংশগ্রহণ করে। সংগীতের শিক্ষার্থীরা একক সংগীত পাশাপাশি সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করেন। আবৃত্তি বিভাগের শিক্ষার্থীরা কোরাস আবৃত্তির পাশাপাশি একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন। নৃত্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা দলীয় নৃত্য পরিবেশনের পাশাপাশি একক নৃত্য পরিবেশন করে।তবলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় ছিল দলীয় লহড়া।
চিত্রাঙ্কন বিভাগের শিক্ষার্থীদের আঁকা ছবি প্রদর্শনী হবে উৎসব প্রাঙ্গণ প্রদর্শন করা হয়। বিতর্ক বিভাগের শিক্ষার্থীরা বারোয়ারী বিতর্কে অংশ নেন। বিতর্কের বিষয় ছিল “আমি যদি পটিয়ার জনপ্রতিনিধি হই”। গানের তালে গীটারে সুর তুলে গীটার বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আর সুন্দর হাতের লেখা বিভাগের শিক্ষার্থীরা উৎসবে অংশগ্রহণকারী সবার সার্টিফিকেট লিখা নিয়ে ব্যস্ত ছিল। বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক উৎসব প্রাঙ্গণ প্রত্যয়ের শিক্ষার্থী, সদস্য ও অভিভাবকদের মিলন মেলায় পরিণত হয়। পরে অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থীদের সনদপত্র প্রদান করা হয়।
Leave a Reply