হযরত ওমর ফারুক (রা:)
রচনায়ঃ মোহাম্মদ আব্দুল হাকিম (খাজা হাবীব )
ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা তিনি ফারুকে আযম
আমিরুল মু’মিনীন- করেছিলেন কুরআনী শাসন।
খোলা তরবারি হাতে নিয়ে নবীজীর সামনে আগমন
দ্বীনের বিরুদ্ধাচরণে ছিল আবু জাহলের প্রিয়জন।
নূরানী নবীর দর্শনে হয়েছিল তার পুলকিত মন
তরবারি কদমে শপে করেছিলেন ইসলাম গ্রহণ।
ইসলামে জীবন উৎস্বর্গ ছিল তার বিশেষ প্রয়োজন
প্রকাশ্যে আযানের ধ্বনি শুনে তখন মক্কার জনগণ।
তারই কন্যা হাফসা (রা:) প্রিয় নবীজীর পত্নী হন
কুরআনের প্রথম কপি যার নিকট ছিল সংরক্ষণ।
দিগ্বীজয়ী মহাপুরুষ তিনি করেছিলেন অর্ধপৃথিবী শাসন
জেরুজালেমের মানুষ ঈমান এনেছিল শুনে তার ভাষণ
তার অভিযানে কেঁপে উঠেছিল হরমুজানের সিংহাসন
দ্বীনি ক্ষুদ্র দলের কাছে বিশাল বাহিনীর ঘটেছিল পতন।
পুত্র আবু শামাকে চাবুক মারতে টলেনি সে বীরের মন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করে-দুনিয়ায় তিনি চিরধন্য হন।
দুগ্ধে পানি না মেশানো নারী হয়েছিল তার পুত্র বধূ
ঘাড়ে আটার বস্তা নিয়েছেন-জনগণের কল্যাণেই শুধু।
বিলি করেছেন গনিমতের মালামাল নিয়ে হিস্যার ভার
পুত্রের কাপড় সংযুক্ত করে জামা বানিয়েছেন তার।
খলিফা ওমর (রা:) ছিলেন ফজরের নামাজে রত
আততায়ীর ছুরিকাঘাতে তার দেহ হয় ক্ষত-বিক্ষত।
নবী (সা:) বাণী: “আমার পর নবী হলে সে হতো ওমর”,
আরও পেয়েছেন সুসংবাদ-বেহেশতে যাওয়ার খবর।
খলিফা ওমর (রা:) সারাজীবন নবীজীর গোলামি করে
সেই সুশাসক মদিনায় শুয়ে আছেন নবীজীর চরণতরে।
সৌজন্যেঃ মোজাদ্দেদীয়া দরবার শরীফ,মোজাদ্দেদপুর, জালালাবাদ,বায়েজিদ বোস্তামী,চট্টগ্রাম।
Leave a Reply