এশিয়ার একমাত্র মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র ও বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদায় প্রথম ধাপে আশানুরূপ ডিম সংগ্রহ না হলেও আবারও বৃষ্টি হওয়ায় দ্বিতীয় ধাপে পাহাড়ি ঢল আর ঘোলা পানি- এই দুইয়ে মিলে হালদার পরিবেশটা এখন ডিম ছাড়ার শতভাগ উপযোগী।
বুধবার (২ জুন) দুপুরের পর থেকে নৌকা নিয়ে নদীতে নামে স্থানীয় ডিম আহরণকারীরা। বিকাল ৪টার পর ডিম সংগ্রহ শুরু করে। পরে ডিমের পরিমাণ আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে। এতে আশা জাগছে হালদাপাড়ের ডিম আহরণকারীদের।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা রিভার রিচার্স ল্যাবরেটরির সমন্বয়কারী ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া সাংবাদিকদের জানান, দুপুরের পর নমুনা ডিম ছেড়েছিল মা মাছ। বিকালের ডিম দেখে মূল ডিমই মনে হচ্ছে। তবে আমরা পূর্ণ জোয়ারের অপেক্ষায় আছি।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, গতকাল ভারী বৃষ্টিপাত হওয়াতে পাহাড়ি ঢল নেমেছে হালদায়। পানিও ঘোলাটে। দুপুর থেকে আমরা হালদায় আছি। ডিম আহরণকারীরা আশায় আছে। আশা করছি, এবার মা মাছ তাদের হতাশ করবে না। বাকিটা জোয়ারের পর বোঝা যাবে।
উল্লেখ্য, মে মাসের চতুর্থ জো অর্থাৎ পূর্ণিমা তিথিতে হালদায় ডিম ছাড়ে মা মাছ। এবার পূর্ণিমা তিথি ছিল ২৩ থেকে ২৯ মে। এই সময়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হয়নি বললেই চলে। আবার ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসের কারণে সাগরের লবণাক্ত পানি ঢুকে পড়ে হালদায়। বৃষ্টিপাত না হওয়া এবং ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাওয়ায় মা মাছ ডিম ছাড়েনি বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
Leave a Reply