1. news@dainikchattogramerkhabor.com : Admin Admin : Admin Admin
  2. info@dainikchattogramerkhabor.com : admin :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
সীতাকুণ্ডে ডেঙ্গু মশা মোকাবেলায় জামায়াত প্রার্থী সভাপতি সাংবাদিক বাচ্চু বড়ুয়া, সহ-সভাপতি সাংবাদিক অনুপম বড়ুয়া মুমিনদের শান্তির ঠিকানা- মহানবীর রওজা- মদিনার মনোয়ারা। -আলমগীর আলম পটিয়ায় বাড়ীর ছাঁদে সবজি ও ফল চাষে সফলতা কলেজ শিক্ষার্থী মুশফিকা ইমরোজ কাইফার। লটারির ভাগ্যে সিএমপির ১৫ থানার ওসির রদবদল আরব আমিরাতে ১২ বছরের বিচ্ছেদের পরে মা ছেলেকে একত্রিত করলো শারজাহ্ পুলিশ বাঘাইছড়িতে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বিদায় সংবর্ধনা ও শিক্ষক কাউন্সিল উপলক্ষে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মায়ানমার পাচারের পথে ৩৭৫ বস্তা সিমেন্টসহ ৮ পাচারকারী আটক সিএমপি’র দুর্ধর্ষ চুরি মামলায় টনক নড়তেই পুলিশ মাত্র ১২ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ৩, উদ্ধার স্বর্ণালংকার! বাকখালী নদীতে কোস্টগার্ডের হানা ,মিয়ানমার পাচারের পথে ৭ লাখ টাকার পণ্যসহ ৬ পাচারকারী আটক!

৩৪ বছর পরে ও কাঁদায় ১৯৯১ সালের সেই ২৯ এপ্রিল, উপকুলের বুকে রয়ে গেছে কান্না আর শুন্যতার ক্ষত

  • সময় মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১৫৩ পঠিত

মোহাম্মদ আলবিন (চট্টগ্রাম)আনোয়ারা প্রতিনিধিঃ

আজ ২৯ এপ্রিল। দিনের পাতায় একটি সাধারণ তারিখ হলেও চট্টগ্রামের উপকূলবাসীর হৃদয়ে এটি এক ভয়াল ট্রাজেডির দিন। ১৯৯১ সালের এই দিনে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়(Cyclone Gorky) আঘাত হেনেছিল চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলায়। শুধু সরকারি হিসেবেই প্রাণহানির সংখ্যা ছিল আনুমানিক ১৩ হাজারের বেশি—যার বেশিরভাগই ঘটেছিল এই দুই উপজেলার উপকূলীয় গ্রামগুলোতে।

সে রাত যেন মৃত্যু ও ধ্বংসের আরেক নাম। সাগরের উথাল জলোচ্ছ্বাসে নিমেষে তলিয়ে গিয়েছিল গ্রাম, ঘরবাড়ি, মাঠঘাট—আর হাজারো মানুষের স্বপ্ন। ভোর হলে ভেসে উঠেছিল মৃতদেহ, কান্না আর হাহাকারের মিছিল।
এই ভয়াল রাতের একজন জীবিত সাক্ষী নুরুল আলম(৬০) বাড়ি আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা বেড়িবাঁধ এলাকায়। সেদিন প্রাণে বেঁচে গেলেও হারিয়েছেন মা ও মামাকে। সেই শোক বয়ে বেড়াচ্ছেন বোবা কান্নায়।

ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল আনোয়ারার রায়পুর, জুঁইদন্ডী ও বারখাইন গ্রাম। মৃত্যুর পরিসংখ্যান তখন কেবল সংখ্যা ছিল না—তা ছিল একেকটি পরিবারের গল্প, প্রতিটি কবর ছিল একেকটি স্বপ্নের সমাধি।
সেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রত্যক্ষদর্শী জেবল হোসেন (৫৫) জানান, এ ঘূর্ণিঝড়ে খুব সতর্কতার সাথে আমি আমার পরিবারকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে ছিলাম। আমার পরিবারের কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও, সেই সময়কার টগবগে তরুণের চোখে দেখেছি লাশের পর লাশ, কেউ হারিয়েছে পরিবার কেউ হারিয়ে যাচ্ছে স্বজন। স্মৃতিগুলো মনে পড়লে এখনো চোখে জল আসে।

আজও সেই ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে উপকূল। বেড়িবাঁধের ভঙ্গুর অবস্থান, পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টারের অভাব আর নদীর ঢেউয়ের আঘাতে প্রতি বছরই নতুন নতুন ভয় নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন এখানকার মানুষ। রায়পুর ও জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, বহুস্থানে বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। কোথাও কোথাও কবরস্থান পর্যন্ত বিলীন হয়ে গেছে নদীতে।
স্থানীয়দের দাবি, টেকসই বেড়িবাঁধ ও আরও আশ্রয়কেন্দ্র না থাকলে ভবিষ্যতেও এমন বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব নয়।
আজ ২৯ এপ্রিল। কিন্তু এখানে এই তারিখ শুধু পঞ্জিকার পাতায় নয়—এটি লেখা আছে উপকূলের প্রতিটি হৃদয়ে, প্রতিটি কবরের পাশে, প্রতিটি বেঁচে যাওয়া মুখে।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
কপিরাইট © ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট