মোঃ শফিকুল ইসলাম
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কৃষিতে নারীর এমন ব্যাপক অংশগ্রহণ সত্ত্বেও, তাদের শ্রমের প্রাতিষ্ঠানিক মূল্যায়ন নেই। সমাজে তাদের অবদানকে কেবল “সাহায্যকারী” হিসেবে দেখা হয়, “কৃষক” হিসেবে নয়। নারী শ্রমিকরা পুরুষদের তুলনায় অনেক কম মজুরি পায়। যেখানে পুরুষরা দৈনিক ৬০০ টাকা পায়, নারীরা পায় মাত্র ৩৫০ টাকা। কঠোর পরিশ্রমের পরও উৎপাদিত ফসল বা গৃহপালিত পশুর উপর নারীর কোনো মালিকানা থাকে না। পরিবারের সদস্যরা তাদের এই শ্রমের কোনো মূল্য দেয় না।
২০১১ সালের জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিতে নারীর অর্থনৈতিক অবদানের স্বীকৃতির কথা বলা হলেও, বাস্তবে গ্রামীণ নারী শ্রমিকের কোনো বৈধ পরিচয় নেই। যদিও ২০১৮ সালের কৃষিনীতিতে “নারী ক্ষমতায়ন” অধ্যায় যুক্ত হয়েছে এবং নারীরা “কৃষিকার্ড” পাচ্ছেন, তবুও বহু প্রান্তিক নারী কৃষক এখনও সরকারি প্রণোদনা থেকে বঞ্চিত। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মতো সংস্থাতেও নারী শ্রমিকের কোনো সঠিক পরিসংখ্যান নেই।প্রবন্ধের লেখিকা নারীদের প্রতি আহ্বান জানান যেন তারা নিজেদের কেবল শারীরিক সৌন্দর্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে জ্ঞান, শিক্ষা এবং আত্মনির্ভরশীলতাকে নিজেদের প্রকৃত শক্তি হিসেবে গড়ে তোলেন। নারীর প্রতি সমাজের অবহেলা দূর করতে হলে প্রতিটি মেয়েকে সচেতন ও সুশিক্ষিত নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। লেখিকার মতে, কৃষিতে নারীর অবদানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে “কৃষক” হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া এবং তাদের প্রাপ্য সম্মান ও মর্যাদা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।
Leave a Reply