মোঃ শহিদুল ইসলাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে আজ অনুষ্ঠিত হলো জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা। সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা খানম।
সভায় জেলার সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। সম্প্রতি সংঘটিত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা, মাদক চোরাচালান, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও অবৈধ হাসপাতালের অনিয়ম—এসব বিষয়ে দফায় দফায় বিশ্লেষণ উঠে আসে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম সানতু, বিপিএম (বার); অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহবুবুল হকসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ।
মূল আলোচনা ও সিদ্ধান্তসমূহ:
কিশোর গ্যাং দমন: আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হবে।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার: বিশেষ টাস্কফোর্সের মাধ্যমে অভিযান চালানো হবে।
মাদক চোরাচালান রোধ: সীমান্ত ও উপকূলবর্তী এলাকা নজরদারিতে ড্রোন ও ট্র্যাকিং সিস্টেম ব্যবহারের পরিকল্পনা।
মানহীন হাসপাতাল: অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চিহ্নিত করে অভিযানে নামবে মোবাইল কোর্ট।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ: বাজার মনিটরিং জোরদার করা হবে; অনলাইন রিপোর্টিং সেল খোলা হচ্ছে।
পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু বলেন, “নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে থানাগুলোতে বিশেষ ডেস্ক চালু হয়েছে। চট্টগ্রাম যেন মাদক ও অস্ত্রের করিডোর না হয়, সেদিকে সর্বোচ্চ নজরদারি চলছে।”
জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, “সরকারি কর্মসূচি ও ধর্মীয়-সামাজিক অনুষ্ঠানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় উপজেলা পর্যায়ে সমন্বয় টিম কাজ করবে। পাশাপাশি ভোক্তা অধিকার ও চিকিৎসাসেবার মান নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন প্রযুক্তিনির্ভর মনিটরিং চালু করেছে।”
সভায় উপস্থিত সকল বিভাগের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতায় চট্টগ্রামকে একটি সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ জেলায় রূপান্তর করার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।
বিশেষ দৃষ্টিকোণ:
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব
জনগণের অংশগ্রহণমূলক প্রশাসনিক কাঠামো গড়ার প্রত্যয় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ‘ডেটা অ্যানালাইটিকস’ ও ‘রিয়েলটাইম রিপোর্টিং’ চালুর সুপারিশ
Leave a Reply