মোঃ মনিরুল ইসলাম রিয়াদ
স্টাফ রিপোর্টার
চট্টগ্রামে আবারও মাথাচাড়া দিয়ে।উঠছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত চার দিনে ছয়জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নগরবাসীর মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হলেও সরকারি প্রস্তুতি অনেকটাই শূন্যের পর্যায়ে। নেই পরীক্ষা চালুর জন্য প্রয়োজনীয় কিট, অচল হয়ে আছে বিশেষায়িত হাসপাতালের বেশিরভাগ ভেন্টিলেটর। আর জনবল সংকট তো রয়েছেই।
জানা গেছে, চট্টগ্রামে করোনা বিশেষায়িত হাসপাতাল ছিল ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে। তবে এখন সেটির অবস্থা খুবই নাজুক। প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, যন্ত্রপাতির অভাবে স্বাভাবিক রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে পারছে না। হাসপাতালের (হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট) বা এইচডিইউ সেবার অবস্থা খুবই নাজুক। এইচডিইউ সেবার প্রয়োজনীয় ভেন্টিলেটর ও যন্ত্রপাতির অধিকাংশই দীর্ঘদিন ধরে অচল। ৩৩টি বাইপ্যাপ মেশিনের মধ্যে সচল আছে মাত্র পাঁচটি। ৩৯টি হাই-ফ্লো ক্যানোলার মধ্যে ৩৬টিই অচল। করোনার ফের সংক্রমণে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালটিকে আবার বিশেষায়িত হাসপাতাল হিসেবে চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. একরাম বলেন, আমি সবেমাত্র দায়িত্ব পেয়েছি। হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে সবকিছু সম্পর্কে অবগত হচ্ছি। দ্রুত সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রচেষ্টা চালাবো।
এদিকে, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেমন-২ হাসপাতালকেও কোভিড বিশেষায়িত হিসেবে প্রস্তুত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল, বিআইটিআইডি, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আরটিপিসিআর পরীক্ষা চালু করা হচ্ছে।
তবে সেবা চালুর উদ্যোগ নেয়া হলেও চট্টগ্রামের সরকারি হাসপাতালগুলোতে কিট নেই। কিট সংকটের কারণে করোনা পরীক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে কিট থাকলেও সরকারিতে কিট নেই। কিটের জন্য চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। দুই-এক দিনের মধ্যে কিট চলে আসবে। কিট আসার পর সরকারিভাবে করোনা পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে। তবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে জরুরি সার্ভিস সেন্টার চালু করা হচ্ছে।
Leave a Reply