
নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সাংগঠনিক কার্যক্রমকে আরও গতিশীল, শক্তিশালী ও ভবিষ্যতমুখী করার লক্ষ্যে গঠিত হলো নাগরিক ছাত্র ঐক্য কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের ৪১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি। এই কমিটিতে বোয়ালখালীর কৃতি সন্তান, ত্যাগী ছাত্রনেতা ও সংগঠক মোস্তানছিরুল হক চৌধুরীকে যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
গতকাল দুপুরে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় “ছাত্র রাজনীতি কেমন হওয়া উচিত?” শীর্ষক এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভা। সভা শেষে নাগরিক ছাত্র ঐক্যের প্রধান উপদেষ্টা, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি, ছাত্র রাজনীতির জীবন্ত কিংবদন্তি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না আনুষ্ঠানিকভাবে নাগরিক ছাত্র ঐক্যের ৪১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন। ঘোষিত এই কমিটিতে মোস্তানছিরুল হক চৌধুরীকে যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
মোস্তানছিরুল হক চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থেকে সততা, নিষ্ঠা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে সাংগঠনিক কাজ করে আসছেন। বিশেষ করে তিনি নাগরিক ছাত্র ঐক্য মিডিয়া সেল উপ-কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে সংগঠনের ভাবমূর্তি তুলে ধরা, কর্মসূচি প্রচার, গণমাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সংগঠনের কার্যক্রম বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তার নেতৃত্বে মিডিয়া সেল ছিল আরও সংগঠিত, সক্রিয় ও প্রভাবশালী যা নাগরিক ছাত্র ঐক্যের অগ্রযাত্রায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।
বোয়ালখালীর এই কৃতি সন্তান ছাত্রজীবনের শুরু থেকেই অন্যায়, অনিয়ম ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা রেখে আসছেন। সাধারণ ছাত্রদের অধিকার, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার এবং একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্র বিনির্মাণের স্বপ্ন বাস্তবায়নে তিনি সবসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তার সাংগঠনিক দক্ষতা, রাজনৈতিক সচেতনতা ও নেতৃত্বগুণের কারণে নাগরিক ছাত্র ঐক্যের নেতৃবৃন্দ এবং কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আস্থা ও বিশ্বাস তৈরি হয়েছে।
নাগরিক ছাত্র ঐক্যের নেতৃবৃন্দ মনে করেন, মোস্তানছিরুল হক চৌধুরীর মতো দায়িত্বশীল, পরিশ্রমী ও আদর্শবান নেতৃত্ব সংগঠনের ভবিষ্যৎ পথচলাকে আরও সুদৃঢ় করবে। তার নেতৃত্বে নাগরিক ছাত্র ঐক্য আরও সামনের দিকে এগিয়ে যাবে এবং দেশব্যাপী সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে একটি ন্যায়ভিত্তিক, গণতান্ত্রিক ও কল্যাণমুখী ছাত্র রাজনীতির বার্তা ছড়িয়ে পড়বে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তারা।
উক্ত আলোচনা সভায় বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ছাত্র অধিকার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, ইসলামি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সহ-সভাপতি ইমরান হোসাইন নুর, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার সভাপতি আজাদ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সানাউল্লাহ হক, বাংলাদেশ ছাত্র মিশনের সভাপতিসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও প্রতিনিধিগণ। আলোচনা সভায় বক্তারা ছাত্র রাজনীতির ইতিবাচক দিক, দায়িত্বশীল ভূমিকা, সহনশীলতা, মতের বৈচিত্র্য ও জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বক্তারা বলেন, ছাত্র রাজনীতি হতে হবে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের মাধ্যম, দেশ গঠনের প্রশিক্ষণ ক্ষেত্র এবং নেতৃত্ব তৈরির পাঠশালা কিন্তু কখনোই তা সহিংসতা, দখলদারিত্ব বা সংকীর্ণ স্বার্থের হাতিয়ার হওয়া উচিত নয়। নাগরিক ছাত্র ঐক্য সেই আদর্শ ছাত্র রাজনীতির চর্চা করতে চায়, যেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মানবিক মূল্যবোধই হবে মূল চালিকাশক্তি।
নাগরিক ছাত্র ঐক্য বিশ্বাস করে, নতুন এই আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে সংগঠন আরও সুসংগঠিত হবে এবং দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছাত্রদের ন্যায্য দাবি-দাওয়া আদায়ে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে মোস্তানছিরুল হক চৌধুরীর অন্তর্ভুক্তি সেই পথচলায় নতুন গতি ও প্রত্যয় যোগ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
Leave a Reply