1. news@dainikchattogramerkhabor.com : Admin Admin : Admin Admin
  2. info@dainikchattogramerkhabor.com : admin :
মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:১২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন সহ বিভিন্ন কমিশনে বিতর্কিত আদিবাসী শব্দ ব্যাবহারের প্রতিবাদে পি‌সি‌সি‌পি জরুরি সংবাদ সম্মেলন। রাঙ্গামাটিতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। আগস্টে ৪৫১ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪২৮। সরকারী মীর ইসমাইল কলেজে নবীন শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন প্রগ্ৰাম-২০২৫ অনুষ্ঠিত বাঘাইছড়িতে এমএন লারমার ৮৬ তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত জনগণের ম্যান্ডেট না নিয়ে রাজপথে কর্মসূচি দিলে গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হবে: আমীর খসরু। ঈগল পরিবহনের চাকার নিচে দুই সিএনজি, চন্দনাইশে বউ-শ্বাশুড়ি সহ নিহত তিন নিবন্ধনপ্রত্যাশী ১৪৩টি দলের মধ্যে বাছাইয়ে উত্তীর্ণ ২২টি। বহুল প্রতীক্ষার শেষে প্রথমবারের মতো গঠিত হলো ১২ নং সরাইপাড়া ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দল কমিটি, রাজপথে আনন্দ র‍্যালী ডাকসুর প্রথম সভা অনুষ্ঠিত, সিনেট সদস্য হচ্ছেন ৫ ছাত্র প্রতিনিধি।

ধর্ষক কেন বেঁচে যায়?

  • সময় বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫
  • ১৩২ পঠিত

প্রতিদিন পত্রিকার পাতায় চোখ রাখলে। নিউজ টেলিভিশনে চোখ পড়লে সর্বপ্রথম দেখা যায় ধর্ষণ এর খবর।

ধর্ষণ এর চেয়ে খারাপ কাজ দ্বিতীয়টি আর কি হতে পারে, কিন্তু দুঃখের বিষয় দিন দিন যেন ধর্ষণ হত্যা বেড়েই চলেছে।

আর বাড়বেই না কেন, যেখানে ধর্ষক নামের মানুষ রুপী কুকুরগুলোকে হাতে নাতে ধরেও বিচার হয় না। আর হলেও বিচারিক রায় হয় এক দশক পর সেখানে ধর্ষণ কি ভাবে বাড়বে না, যেখানে ধর্ষণের শাস্তি পেতে হয় ধর্ষিতাকে নারী কে।

বর্তমানে বাংলাদেশের মধ্যে ধর্ষক আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে শুধু কি তাই ধর্ষণ করার পর জামিনে বেরিয়ে উল্লাস করে। মোটরসাইকে শোডাউন করে ধর্ষক।

প্রশ্ন থেকে যায় এই দেশে কি করে নারী ধর্ষিত হয় প্রতিদিন, কি ভাবে প্রতিহত করা যায় এই ধর্ষণ।

যে দেশে তথ্য উপাত্ত সব কিছু থাকার পর ও ধর্ষক এর পক্ষে উকিল পাওয়া যায় সে দেশে কি করে ধর্ষণ বন্ধ হবে।

লক্ষ্য করলে দেখা যায় মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এর হিসাব অনুযায়ী ২০১৯ সালে এক হাজার ৪১৩ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয় ২০১৮ সালে এর সংখ্যা ছিল, ৭৩২ জন। ২০১৭ ধর্ষণের শিকার হয় ৮১৮ জন নারী।

এই দিকে ২০১৯ সালে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় ৭৬ জনকে ২০২৪ সালে ধর্ষণের শিকার ৪০১ নারী, যার মধ্যে অনেকগুলোর বিচার হয়নি এখনো যা কইটা হয়েছে সময় লেগেছে অনেক।

তারপরও কমে আসেনি ধর্ষণ এর সংখ্যা। প্রতিনিয়ত ধর্ষিত হচ্ছে শত শত মা বোন।
ধর্ষিত শুধু একটা নারী হয় না ধর্ষিত হয় সারাদেশ ধর্ষিত হয় সমাজ ব্যবস্থা।

ধর্ষিত হয় একজন বাবার একজন স্বামীর পুরো জীবন, তার আদর-সোহাগ। ধর্ষণ করা হয় একটা পুরো পরিবারের ভবিষ্যৎকে ধর্ষিত হয় আমাদের আদর্শ।
যখন একজন নারী ধর্ষিত হয়, তার মা-বাবার দিকে সমাজ বাঁকা চোখে তাকায়, তার ভাই-বোন আগের মত বন্ধুদের সাথে সহজে মিশতে পারে না।

তারা একরকম একঘরে হয়ে থাকতে হয়।
যে নারী ধর্ষিত হয়।
তার পরিবারও সমাজে বঞ্চনার শিকার হয় আত্মীয় স্বজন এড়িয়ে চলে।
আর ধর্ষিতার কথা কি বলবো সে তো আজীবন মরে যাবার ইচ্ছে নিয়ে বেঁচে থাকে জীবন্ত লাশ হয়ে থাকে।

পৃথিবী টা তার কাছে নরক আর বেঁচে থাকাটা তার জন্য নরকের শাস্তি হয়ে থাকে, পুরুষ জাতি তখনই মরে গেছে যখন তারই সামনে তার মেয়ে তার স্ত্রীকে বিবস্ত্র করে কতগুলো কুকুর ছিবড়ে,খুবলে খাচ্ছে কিন্তু সে কিছুই করতে পারে না।

তারা আর কোন রাতে শান্তিতে ঘুমুতে পারবেনা, পারবেনা এই পৃথিবীর বুকে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে।

একজন মানুষকে যখন খুন করা হয়। তখন সে মৃত্যুকালীন সময়েই যন্ত্রণা ভোগ করে,কিন্তু যখন একজন নারীকে ধর্ষণ করা হয়। তখন থেকে সে যতদিন বেঁচে থাকে ততদিন মৃত্যু যন্ত্রণা ভোগ করে যেতে হয়।

তাই দলমত নির্বিশেষে সকলের উচিৎ স্বোচ্চার হয়ে সমাজের ঐ অবৈধ সন্তানগুলোকে আইনের আওতায় এনে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যাবস্থা করা।
সম্ভব হলে ধর্ষণ এর জন্য আলাদা দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল গঠন করা।

লেখকঃ
সরোয়ার উদ্দিন আনসারী।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
কপিরাইট © ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট