মোঃ শেখ ফরিদ, মিরসরাই প্রতিনিধি:
যার জন্য ইতিহাসের কাছে রাষ্ট্র শরমিন্দা হতে পারে।কথাটা এড়িয়ে যাবেন না, প্লিজ।
এছাড়াও, পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা হুকুমের গোলাম, একথাটি তো বলাই বাহুল্য। আশাকরি রাজনীতিকরা ছলচাতুরি করলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে কেউ একথায় দ্বিমত পোষণ করেন না।
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা মুক্তি চায়। এমনটাই দেখা গেছে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে অগণিত পুলিশ সদস্যদের হত্যা ও আহত হবার পরে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর মধ্যে।
একথা অনস্বীকার্য, পুলিশ, জনগণের ঘামের পয়সা দিয়ে পালিত। এদিকে পুলিশও কেবলমাত্র জণগনের সেবায়ই নিয়োজিত হতে চায়।
পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা আর কারো প্রটোকল দিতে রাজি নয়, একমাত্র সাধারণ মানুষের সেবাতেই নিয়োজিত থাকতে চায়, এই মহান পথ প্রদর্শন করার কারণে চক্রান্তের শিকার হয়েছে। সকল বৈষম্যের উর্ধ্বে গিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য ডিউটি করতে চাওয়া পুলিশ সদস্যরা এখন উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলায় জেলে পরে আছেন। বলছি, ২০২৪ইং, ৫ আগষ্টের পরবর্তী সময়ের কথা।
এছাড়াও উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে এখনও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে চলছে চক্রান্ত, কথাটি সবাই জানে। ৫৪ বছর স্বাধীন ও সার্বভৌম একটি রাষ্ট্র বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী পুলিশ বাহিনীর মতো সম্পদও অর্জন করে কিন্তু তা এখন আবার ধ্বংসে প্রতিপন্ন হচ্ছে, প্রেক্ষাপট বর্তমান বাংলাদেশ।
সরকার আসে সরকার যায় কিন্তু হুকুমের গোলাম পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা একই জায়গায় অবস্থান করে সকল সরকারের প্রতিনিধিদের হুকুম কায়েম করে।
শুধু তাই নয়, দেশের পাবলিক ও পুলিশ, সকল নির্বাচিত সরকারের অধীনেই চলেন, তথা সরকারের প্রণীত আইন শৃঙ্খলা মেনে চলেন কিন্তু দেশের পাবলিক ও পুলিশ যারা দুজনে দুজনার, সরকার নামক অদৃশ্য যন্ত্রের প্রাণ সেই তাদেরকেই এখন যা করছে সরকার নামক অদৃশ্য যান্ত্রিক শক্তিটি তার পরিচালকদের চরিত্রহীনতার কারণে তা দেখে আমরা লজ্জা পাই।
আমরা পৃথিবীর অন্যান্য জাতির কাছে ছোট হয়ে যাই। আমাদের সরকার নামক অদৃশ্য সত্বাটিকে অধিকার করে এভাবে যারা আমাদেরকে পৃথিবীর মানুষের সামনে ছোট করে দিচ্ছে তাদেরকে বলবো, আপনারা ইনশাআল্লাহ সময় হলে জবাব দিবেন এবং এটাও মনে রাখবেন, আপনাদের সন্তানরাও আপনাদের চরিত্রহীনতার কারণে লুকিয়ে বেড়াবে একদিন, ইনশাআল্লাহ।
আমরা সাধারণ মানুষ, আমরা একটা সাধারণ ও সহজ-সরল জীবন চাই। আমরা খুব ভালো করেই জানি একটা সহজ-সরল বাঙালী জীবনের জন্য কি কি প্রয়োজন, এবং আমাদের কি কি আছে।
এমতাবস্থায় যে বা যাহারা আমাদেরকে প্রতিহত করেছেন বিভিন্ন ধামাচাপার মাধ্যমে, যারা মানসিক ভাবে প্রতিহত করে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে আমাদের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে একটা জাতির জীবন ব্যবস্থাকে তছনছ করে দিবেন ভাবছেন, -এই ভবের বাজারে।তারা ইতিহাসের পাতায় সর্বশান্ত হবেন, ইনশাআল্লাহ, কেননা এর কোন ব্যতিক্রম ইতিহাসে নাই।
আর আমাদের সন্তানদের বিষয়ে আমাদের কথা, কিচ্ছু বলার নেই বাজানরা, আমরা যা হারিয়েছি তা কাউকে বলতেও পারবো না। তবে আমাদের জীবনে এই প্রথমবার আমাদের মাথা নত করে থাকতে হচ্ছে।
এমতাবস্থায় আমরা অপেক্ষায় আছি, কবে আমাদের সভ্য, ভদ্র সকলের কাছে সমাদৃত সন্তানরা বাড়ি ফিরে আসবে। আমাদের সন্তানরা আমাদের অহংকার, আমরা তাদেরকে আমাদের প্রাণ মনে করি, আমাদের বেঁচে থাকার কারণ। আমরা বিশ্ববাসীর কাছে একটা নিরিহ ও অত্যন্ত ভদ্র জাতি, আমাদের সন্তানরা পাকিস্তানীদের সন্তানদের মতো না, আমরা জানতাম। আমাদের সন্তানরা বেয়াদব নয় কিন্তু তারা আজ আমাদের জন্য সংশয়। এরচেয়ে বেশি আর কিছু বলতে পারবো না, কারণ আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে, আমাদের সন্তানদের আমরা পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি, তারাই আমাদের স্বপ্ন ও তারাই আমাদের বিশ্বাস, অহংকার।
Leave a Reply