1. news@dainikchattogramerkhabor.com : Admin Admin : Admin Admin
  2. info@dainikchattogramerkhabor.com : admin :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
সীতাকুণ্ডে ডেঙ্গু মশা মোকাবেলায় জামায়াত প্রার্থী সভাপতি সাংবাদিক বাচ্চু বড়ুয়া, সহ-সভাপতি সাংবাদিক অনুপম বড়ুয়া মুমিনদের শান্তির ঠিকানা- মহানবীর রওজা- মদিনার মনোয়ারা। -আলমগীর আলম পটিয়ায় বাড়ীর ছাঁদে সবজি ও ফল চাষে সফলতা কলেজ শিক্ষার্থী মুশফিকা ইমরোজ কাইফার। লটারির ভাগ্যে সিএমপির ১৫ থানার ওসির রদবদল আরব আমিরাতে ১২ বছরের বিচ্ছেদের পরে মা ছেলেকে একত্রিত করলো শারজাহ্ পুলিশ বাঘাইছড়িতে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বিদায় সংবর্ধনা ও শিক্ষক কাউন্সিল উপলক্ষে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মায়ানমার পাচারের পথে ৩৭৫ বস্তা সিমেন্টসহ ৮ পাচারকারী আটক সিএমপি’র দুর্ধর্ষ চুরি মামলায় টনক নড়তেই পুলিশ মাত্র ১২ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ৩, উদ্ধার স্বর্ণালংকার! বাকখালী নদীতে কোস্টগার্ডের হানা ,মিয়ানমার পাচারের পথে ৭ লাখ টাকার পণ্যসহ ৬ পাচারকারী আটক!

জাতীয় শিশু দিবসে শিশুদের প্রাপ্তি ও প্রত‍্যাশা- মুহাম্মদ আলী

  • সময় বুধবার, ১৬ মার্চ, ২০২২
  • ৪৪৭ পঠিত

একজন শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে বিশেষ কিছু মানবাধিকারের, অন্যান্য অধিকারের মধ্যে, বেঁচে থাকার অধিকার, একটি নামের অধিকার, শিশু সংক্রান্ত বিষয়ে তার মত প্রকাশের অধিকার, চিন্তার স্বাধীনতার অধিকার, বিবেক এবং ধর্মের অধিকার, স্বাস্থ্যসেবার অধিকার, অর্থনৈতিক ও যৌন শোষণ থেকে সুরক্ষার অধিকার এবং শিক্ষার অধিকার পাওয়ার কথা শিশু সনদে বলা আছে।

আজ আমরা যদি এই অধিকার বিশ্লেষন করি তাহলে প্রথমেই উঠে আসে
[বেঁচে থাকার অধিকারের কথা] কিন্তু বর্তমানে সমাজে একটি শিশু বেঁচে থাকার অধিকার নেই বললে চলে কারণ শিশু শুধু জন্মগ্রহণ করাটাই বেঁচে থাকা নয়। পরিপূর্ণ ভাবে তার অধিকার ভোগ করে বেড়ে উঠার নামই হলো বেঁচে থাকার অধিকার।
বর্তমানে সমাজে দেখা যায় অনেক মা তার সন্তান ভূমিষ্ঠের আগেই মাতৃগর্ভে মেরে ফেলে এবং এমনও হয় যে শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর শিশু কে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া মতো আরও জঘন্য ঘটনা ঘটে চলছে এই সমাজে। তাহলে শিশুর বেঁচে থাকার অধিকার কিভাবে পেলো এই শিশু?
এর দায় ভার কার বলতে পারবে কি বর্তমান সমাজ?
এরপর আসে একটি শিশুর
[সুন্দর নামের অধিকার] সমাজে যারা প্রতিষ্ঠিত বা বড় লোকের সন্তান রয়েছে তাদের মা বাবা থাকাতে সেই শিশুগুলো তাদের নামের অধিকার পেয়ে থাকে কিন্তু বর্তমানে অনেক শিশু জন্মের পর থেকেই পিতৃ মাতৃ হারা হয়ে যায় তাদের কে রাখবে সুন্দর নাম? এর পিছনে সমাজ এবং সমাজের মানুষ দায়ী। আবার সেই সমাজের মানুষরাই আমরা আবার তাদেরকে টোকাই, এই পিচ্চি, এই বলে ডেকে থাকি। এই কি তার সুন্দর নামের অধিকার?
[মতপ্রকাশের অধিকার ] যেই শিশু তার মৌলিক অধিকার থেকেই বঞ্চিত সেই শিশু শিশু কিভাবে মত প্রকাশের অধিকার পাবে। অথচ শিশু সনদে তো তার প্রকাশের অধিকারের কথা রয়েছে তাহলে সমাজ কেনো এই অধিকার ক্ষুন্ন করছে সেটার কি কোন সদত্তোর আছে সমাজ বা রাষ্টের কাছে?
[ চিন্তা ও স্বাধীনতার অধিকার ] যেখানে সমাজের প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষরাই চিন্তা এবং স্বাধীনতার অধিকার থেকে বঞ্চিত সেখানে শিশুদের চিন্তা ও স্বাধীনতার অধিকার পাওয়া মানে তো সোনার হরিণ পাওয়ার মতো। এই অধিকার গুলো শুধু শিশু সনদে লিপিবদ্ধ কিন্তু বাস্তবে তা বাস্তবায়ন নাই।
[ বিবেক এবং ধর্মের অধিকার ] একটি শিশু যখন তার মাতৃগর্ভ থেকে পরিপূর্ণ পুষ্টি পেয়ে জন্মগ্রহন করে তাহলে একজন শিশু পুষ্টি সম্পন্ন বা বিবেকবান হতে পারে। যখন কোন শিশু অপুষ্টিতে ভোগে তখন শিশুর শরীরে বিভিন্ন রোগ বাসা বাধেঁ এমন কি বিকালঙ্গ হতে পারে।
শিশু যখন জন্মগ্রহন করে তখন সে জানেনা সে কোন ধর্মের অনুসারী হয়ে জন্মগ্রহন করছে। তার বাবা মা তাকে প্রথম ধর্ম পরিচয়ে ভূমিকা রাখে এবং তাদেরই দায়িত্ব তার শিশু কে ধর্মের অধিকারে স্বীকৃতি দেওয়া।
[স্বাস্থ্য সেবার অধিকার ] শিশুদের স্বাস্থ্য সেবা একটি গুরুত্বপূর্ণ অধিকার। কারণ সারা বিশ্বে তুলনা মুলক ভাবে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ শিশু বিনা চিকিৎসা বা সঠিক চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে। তবে বর্তমানে সরকার স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য যে সমস্ত পদক্ষেপ নিয়েছে তা সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারলেই স্বাস্থ্য সেবার মান বাড়বে অন‍্যথায় নাম মাত্রই থেকে যাবে এই স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়ন এবং মারা যাবে লক্ষ লক্ষ শিশু।
[অর্থনৈতিক ও য‍ৌন শোষণ থেকে সুরক্ষার অধিকার এবং শিক্ষার অধিকার ] বর্তমানে সবচেয়ে বেশি যৌন নির্যাতনে স্বীকার হচ্ছে শিশু তবে শিক্ষার হার বাড়লেও বাড়েইনি গুনগত শিক্ষার মান। আর তাই শিশুরা শিক্ষা লাভের সুযোগ পেলেও শিক্ষিত বা ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠছে নাই।
উল্লেখ্য যে, ১৯৮৯ সালের ২০ নভেম্বর বিশ্বনেতারা শিশু অধিকার বিষয়ে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ বাস্তবায়ন করেন। এটি পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যাপকভাবে অনুমোদিত মানবাধিকার চুক্তি।

কোভিড-১৯-এর প্রভাব শিশুদের শিক্ষা, পুষ্টি ও সার্বিক কল্যাণের ক্ষেত্রে অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ২০২০ সালের প্রথম দিকে এই মহামারি শুরুর পর থেকে স্কুল বন্ধের কারণে বাংলাদেশের ৩ কোটি ৭০ লাখ শিশু এবং সমগ্র এশিয়া মহাদেশের প্রায় ৮০ কোটি শিশুর শিক্ষা ব্যাহত হয়েছে।

ক্রমবর্ধমান দারিদ্র্য, বৈষম্য, সংঘাত, জলবায়ু বিপর্যয় এবং কোভিড-১৯-এর মতো জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সীদের মধ্যে একটি চলমান পুষ্টিসংকট তৈরি করছে। বাংলাদেশে ৬-২৩ মাস বয়সী প্রতি তিনজনের মধ্যে মাত্র একজন শিশুকে ন্যূনতম সুপারিশকৃত পুষ্টি দেওয়া যাচ্ছে।

২০১৩ সালে বাংলাদেশে ১৭ লাখ শিশু শ্রমে নিয়োজিত ছিল। বিশ্বব্যাপী শিশু শ্রমিকের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৬ কোটিতে—গত ৪ বছরেই ৮৪ লাখ শিশু যোগ হয়েছে। কোভিড-১৯-এর প্রভাবের কারণে আরও লক্ষাধিক শিশু ঝুঁকিতে আছে।

এই শিশুদের অধিকার বিষয়ক সচেতনতার লক্ষে বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৬ সাল হতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে জন্মবার্ষিকী কে কেন্দ্র করে ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে সরকারি বেসরকারি ও সামাজিক সংগঠন গুলো ১৭ মার্চ কে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ‍্যমে এই দিবসটি পালন করে থাকে।
শিশুদের অধিকার বাস্তবায়নে শুধু দিবস পালন করলেই হবে না,করতে হবে শিশুদের সঠিক পরিচর্যা। কারণ একটি গাছ কে যত ভালো ভাবে পরিচর্যা করবে গাছটিও তত তাড়াতাড়ি এবং ভালো ভাবে গড়ে উঠবে। আর তাই সমাজয, রাষ্ট্র এমন কি পরিবার থেকেও শিশুদের কে সঠিকভাবে পরিচর্যা করে গড়ে তুলতে হবে। তবেই একটি শিশু বিকশিত হয়ে আগামী বাংলাদে গড়ার কারিগর হতে সক্ষম হবে।

লেখক
প্রতিষ্ঠাতা, বঞ্চিত নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশন।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
কপিরাইট © ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট