মোঃ মনিরুল ইসলাম রিয়াদ
চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধিঃ
সরবরাহ কমের দোহাই দিয়ে চড়া দামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। এতে ক্রেতা সাধারণকে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে প্রতিকেজি সবজি কিনতে। দাম কমার লক্ষণই নেই চাল, ডিম, আলু ও মুরগিতেও। ক্ষুব্ধ ক্রেতা সাধারণের অভিযোগ, ব্যবসায়ীদের অজুহাতের কোনো শেষ নেই। একই সঙ্গে দায়িত্বশীল সংস্থার অভিযান কমে যাওয়াকে দুষছেন তারা। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর ) চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট কাঁচা বাজার- বক্সিরহাট ও রিয়াজউদ্দিন বাজারে খোঁজ নিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,কচুরমুখীর কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। পেঁপের কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ধুন্দল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৮০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজি শিম ২০০ টাকা কেজি, ফুলকপি প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা,পাকা টমেটো প্রকারভেদে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা এবং গাজর ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি ১০ থেকে ২০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। গতকাল কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হয়েছে ১৬০-২০০ টাকায়
বাজারের দাম সম্পর্কে জানতে চাইলে বহদ্দারহাট কাঁচা বাজারে বাজার করতে আসা খন্দকার আলমগীর নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘ভেবেছিলাম সরকার পরিবর্তনের পরে বাজারে কোনো সিন্ডিকেট থাকবে না। দামও কমবে। কিন্তু দাম তো কমছেই না, সরকারের এ নিয়ে কোন উদ্যোগও দেখছি না।
পাশে থাকা কাদের নামে আরেক জন বলেন, ‘প্রশাসনকে বাজার মনিটরিংয়ের কাজেও খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কোথাও কোথাও অভিযান করলেও এক অভিযানে তিন-চারজন ম্যাজিস্ট্রেট যাচ্ছেন। তারা চাইলে আলাদা আলাদা বাজারে মনিটর করতে পারেন। একটা-দুইটা বাজারে গিয়ে দুই-তিনটা ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেন- এটা স্রেফ লোক দেখানো ছাড়া আর কিছু নয়।’
বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজারে সব ধরনের সবজির দাম ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে, দেশের টালমাটাল পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক হয় বন্যায় ফসলের যে ক্ষতি হয়েছিল তাও যদি কৃষকরা কাটিয়ে ওঠতে পারে তাহলে সামনে দাম আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হবে।
এই দিকে মুরগির দাম একইরকম রয়েছে। চট্টগ্রামে দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়, ব্রয়লার ১৮০ এবং সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। দেশের প্রেক্ষাপট বদলে যাবার পর মুরগির গ্রাহক কমেছে। আর সে কারণে মুরগির দাম স্থিতিশীল আছে বলে দাবি বিক্রেতাদের।
এ সপ্তাহে মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা ডজন। হাসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায়। দেশীয় খামারগুলো ঠিকমতো ডিম সরবরাহ না করায় ডিমের দাম কমছে না। ইতোমধ্যে ভারত থেকে বেশকিছু ডিম এসেছে। এসব ডিম বাজারে ছাড়া হলে দাম কমবে বলে ধারণা বিক্রেতাদের।
Leave a Reply