বাবু চৌধুরীঃ
সৌদি আরব, কাতার, ওমান, আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত প্রবাসীদের স্বার্থে বিশেষ ব্যবস্থায় ফ্লাইট চালু রাখার আহবান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।
এক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী এবং বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
আজ বুধবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অন্যতম চালিকাশক্তি হচ্ছে প্রবাসী আয়।
বাংলাদেশের শ্রমশক্তির একটি বিপুল পরিমাণ অংশ মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত রয়েছে। বর্তমানে ছুটিজনিত কারণে দেশে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী অবস্থান করছে।
এদিকে করোনা পরিস্থিতির কারণে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকায় বিদেশগামী অনেক যাত্রী আটকা পড়েছেন। ফলে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন আমাদের শ্রমিকরা।
তিনি বলেন, জানা মতে একেকজন বিদেশগামী যাত্রী স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে তিন গুণ বেশি টাকা দিয়ে ফ্লাইটের টিকেট কেটে রেখেছেন। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকার কারণে তারা নির্দিষ্ট সময়ে কর্মস্থলে যেতে না পারলে চাকুরি হারাবেন বলে শংকায় রয়েছেন।
দেশের অর্থণীতির বিশাল অংকের রেমিট্যান্সের অন্যতম প্রধান যোগান দাতা হচ্ছে আমাদের প্রবাসীরা। যা রপ্তানীমূখী শিল্পের চেয়েও কোন অংশে কম নয়।
অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এ খাতকে তাই যে কোন মূল্যে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। ফলে তাদের স্বার্থে বিশেষ ব্যবস্থায় ফ্লাইট চালু রাখার আহ্বান জানান নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা খোরশেদ আলম সুজন।
যে কারণে নগরবাসীকে ধন্যবাদ জানালেন সুজন : খোরশেদ আলম সুজন বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য জীবন ও জীবিকাকে সমুন্নত রেখে বেশ কিছু নির্দেশনা প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
তারই ধারাবাহিকতায় ১৪ এপ্রিল থেকে আগামী এক সপ্তাহ (২১ এপ্রিল) পর্যন্ত দেশব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার। সরকারি এ নির্দেশনা পালন করে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না চট্টগ্রাম নগরবাসী।
এজন্য নগরবাসীকে ধন্যবাদ জানান এবং করোনাভাইরাসের সংক্রমণের উর্দ্ধগতিকে নগরবাসী ঠেকাতে পারবেন বলে দৃঢ় বিশ্বাস করেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।
সুজন নগরবাসীর কাছে বিনয়ের সাথে আবেদন জানান, কষ্ট করে হলেও আপনারা ঘরে থাকুন, সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। সেই সাথে নিজ নিজ এলাকায় অবস্থাসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গকে গরীব ও নিম্ন আয়ের মানুষের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ারও অনুরোধ জানান তিনি।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা নিয়ে যা বললেন সুজন : করোনা পরিস্থিতিতে বেশ কিছু নির্দেশনা প্রদান করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে রমজানে দেশের সব মসজিদে তারাবির নামাজসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ চালু থাকবে। করোনা সংক্রমণ এড়াতে তারাবির নামাজে খতিব, ইমাম, হাফেজ, মুয়াজ্জিন ও খাদেমসহ সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি অংশগ্রহণ করবেন।
সুজন বলেন, দেখা যাচ্ছে নগরীতে বিভিন্ন আকারের মসজিদ নির্মিত হয়েছে। অনেক মসজিদে মুসল্লি ধারণ ক্ষমতা বেশি, আবার অনেক মসজিদে কম। এক্ষেত্রে ধর্ম মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনায় মুসল্লিদের মধ্যে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।
যে সকল মসজিদে মুসল্লি ধারণক্ষমতা বেশি সে সকল মসজিদে সরকার নির্দেশিত সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায়ের সুযোগ দানেরও আহবান জানান তিনি।
তাছাড়া জ্বর, সর্দি কিংবা অন্যান্য রোগে অসুস্থ মুসল্লিদের মসজিদের পরিবর্তে নিজ নিজ বাসায় নামাজ আদায় করার অনুরোধ জানান সুজন।
Leave a Reply