পলাশ সেন। চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধি:
পেঁয়াজ রফতানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার খবর প্রকাশের পর থেকে এক লাফে পণ্যটির দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ আগের সপ্তাহের তুলনায় দ্বিগুণ দাম বিক্রি হচ্ছে। এতে করে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। অন্যদিকে চট্টগ্রামে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করায় ৫টি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর চৌমুহনী এবং খাতুনগঞ্জে পৃথক অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়। অভিযানে নগরীর চৌমুহনী কর্ণফুলী মার্কেটে অভিযান চালিয়ে ফারুক স্টোরকে ৩০ হাজার টাকা এবং আলিফ ট্রেডার্সকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অপরদিকে নগরীর খাতুনগঞ্জে বরকত ভান্ডারকে ২০ হাজার টাকা, এ এইছ ট্রের্ডাসকে ১০ হাজার টাকা এবং এ কে ট্রেডার্সকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর চট্টগ্রাম উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার ও রানা দেবনাথ। সহকারী পরিচালক রানা দেবনাথ বলেন, বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির অভিযোগে এসব প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়। জানা যায়, চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার চাকতাই-খাতুনগঞ্জে শনিবার কেজিপ্রতি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি করা হয় ২১০ টাকা থেকে ২২০ টাকায়। চীন থেকে আমদানি করা বড় সাইজের পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়। খুচরায় প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে ২২০ টাকা থেকে ২৪০ টাকায়। চীনা পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে ১৬০ টাকা করে। অথচ, আগের দিন শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে খাতুনগঞ্জে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি করা হয় ১০০ টাকায় এবং চীন থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি করা হয় ৫৫ টাকা থেকে ৬০ টাকায়। শুক্রবার দুপুরের পর থেকে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়ে কেজিপ্রতি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১৫০ টাকায় এবং চীনা পেঁয়াজ বিক্রি করা হয় ১১০ টাকা ১২০ টাকায়।
Leave a Reply