পলাশ সেন,চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধি:
গত ০২ এপ্রিল ২০২২ইং তারিখ আনুমানিক ১৬২০ ঘটিকায় ভুক্তভোগী ভিকটিম আনিসুর রহমান ইমন এবং তার ছোট ভাই আমিনুর রহমান সায়েমসহ কোতয়ালী থানাধীন পাথরঘাটা এলাকার ইকবাল রোডে জামান গার্মেন্টস এর সামনে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় পূর্ব শত্রুতার জেড়ে পথিমধ্যে কতিপয় দুস্কুতিকারীরা ভিকটিম আনিসুর রহমান ইমন’কে এলোপাতাড়ী মারধর শুরু করে। মারের আঘাতে ভিকটিম রাস্তা উপর লুটিয়ে পরলে দুস্কুতিকারীরা ভিকটিমকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র (চাকু, রামদা, কিরিচ) দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ভিকটিমের কাছে থাকা নগদ ২৫,০০০/- টাকা এবং গলায় থাকা ০১ ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন আতসাৎ করে।
এ সময় ভিকটিম ও তার ভাইয়ের চিৎকার শুনে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে দুস্কুতিকারীরা তাদের উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ ও হুমকি প্রদান করে ঘটনাস্থান থেকে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ভিকটিমের ভাই ও আশে পাশের লোকজনের সহযোগীতায় গুরুতর আহত অবস্থায় ভিকটিমকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরী বিভাগে ভর্তি করে। সেখানে সে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় গত ০৩ এপ্রিল ২০২২ইং তারিখ আহত ভিকটিমের ছোট ভাই আমিনুর রহমান সায়েম বাদী হয়ে চট্টগ্রাম মহানগরের কোতয়ালী থানায় ০৩ জন নামীয় এবং ৫/৬ জন অজ্ঞাতনামা করে একটি মামলা দায়ের করে। যার নং-০৯, তারিখ ০৩ এপ্রিল ২০২২ইং, ধারা-১৪১/৩৪১/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৫০৬ পেনাল কোড ১৮৬০।
ঘটনাটি সংগঠিত হওয়ার পর থেকে এই চাঞ্চল্যকর হত্যাচেষ্টা মামলার এফআইআর তালিকাভুক্ত এরুপ জঘন্য কর্মকান্ডের সাথে জড়িত অপরাধীদের’কে গ্রেফতার লক্ষ্যে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বিশেষ গোয়েন্দা নজরদারী শুরু করে। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, উল্লেখিত ঘটনার এফআইআর তালিকাভুক্ত ১নং ও অন্যতম প্রধান আসামী মোঃ আসিফ হায়দার চট্টগ্রাম মহানগরের কোতয়ালী থানাধীন ডিসি রোড এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ০৭ এপ্রিল ২০২২ইং তারিখ ১৪০০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ আসিফ হায়দার (৩২), পিতা- মৃত মোঃ নাসির উদ্দিন, সাং- পাথরঘাটা, থানা-কোতয়ালী, জেলা- চট্টগ্রাম’কে আটক করে।
পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামী অকপটে স্বীকার করে যে, উপরে উল্লেখিত ঘটনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ও অনত্যম পরিকল্পণাকারী ছিলো।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply