ইসমাইল ইমন চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ
বন্দর নগরী চট্টগ্রামের বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিংক রোডে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী। গত শনিবার (২৩ জুলাই) রাতে সীতাকুণ্ড থানাধীন বায়েজিদ লিংক রোড দুই নম্বর ব্রিজের নিচে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ভুক্তভোগী তরুণী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯- এ ফোন করে ধর্ষণের কথা জানালে আকবর শাহ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত চারজনের একজনকে গ্রেপ্তার করে। ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি রয়েছেন। আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালি উল্লাহ আকবর বলেন, চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বসের সঙ্গে দেখা করানোর নাম করে চার দুর্বৃত্ত নিয়ে যায় তরুণীকে। সেখানেই সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন ওই তরুণী। ৯৯৯ এ অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা হাসপাতালে গিয়ে ভুক্তভোগী তরুণীর সঙ্গে কথা বলি। পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে (২৫ জুলাই ) সোমবার সকালে ইমতিয়াজ হোসেন বাপ্পি, পিতা আমির হোসেন প্রকাশ আমির ড্রাইভার। নামে একজনকে আটক করলে ভুক্তভোগী ওই তরুণী অভিযুক্তকে শনাক্ত করেন। পরে জানতে পারি ঘটনা আকবর শাহ এলাকায় নয়, ঘটনা ঘটেছে সীতাকুণ্ড থানা এলাকায়। অভিযুক্ত চারজনের মধ্যে তিন জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তারকৃত বাপ্পী ছাড়া বাকি দুজন হলেন রিপন ও রাসেল। অভিযুক্ত এক জনের নাম পরিচয় জানা যায়নি। বাপ্পীকে আমরা সীতাকুণ্ড থানায় হস্তান্তর করেছি।বিশেষ সৃত্রে জানা যায়,বায়েজিদ লিংক রোডে পুলিশের সোর্স বা ফর্মারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সৃত্রে জানা যায়, মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোয়ারা আদায় করে সোর্সরা। যেসব মাদক ব্যবসায়ী তাদের টাকা দিতে না চান তাদের পুলিশে সোপর্দ করে সোর্সরা। তাই মাদক ব্যবসায়ীরা কখনও কখনও পুলিশের চেয়ে কথিত সোর্সদের বেশি ভয় পান।স্থানীয়দের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বায়েজিদ লিংক রোডে বায়েজিদ থানা এলাকায় বাপ্পি পুলিশের অন্যতম প্রধান সোর্স হিসেবে কাজ করে। পুলিশের সোর্স পরিচয়ে দাপটের সঙ্গে অপরাধ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী জানান, এলাকায় সোর্স বাপ্পি পুলিশের চেয়েও বেশি দাপট দেখায়। মানুষের সঙ্গে যাচ্ছেতায় ব্যবহার করে।
Leave a Reply