অবসরে বই পড়ুন এ শ্লোগানে ‘সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে’র উদ্যোগে সেলুনে আগত সেবাগ্রহীদের বই পড়ায় উদ্ধুদ্ধ করতে বুক সেলফ ও বই বিতরণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ছে।বিভিন্ন জেলায় ইতোমধ্যে তা ‘সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে ‘ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।তারই ধারাবাহিকতায় এবার চট্টগ্রামে বসলো ‘সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে’ বুক সেলফ।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম নগরীর ফিরোজশাহ এলাকার
পুজা সেলুনের স্বত্তাধিকারী বাসুর হাতে ‘সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে’র আনুষঙ্গিক উপকরণ বিতরণ কার্যক্রমে ‘সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে’র প্রতিষ্ঠাতা,কবিতা ঘরের পরিচালক লেখক ও কবি গোলাম মাওলা জসিমের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন নাট্যজন রুপায়ন বড়ুয়া।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বীজন নাট্যগোষ্ঠীর দলপ্রধান মোশাররফ ভূঁইয়া পলাশ।
এ সময় অনুষ্ঠানের উদ্বোধক নাট্যজন রুপায়ন বড়ুয়া বলেন,প্রযুক্তির উৎকর্ষতা বৃদ্ধির ফলে বর্তমান যুগে বই পড়ার আগ্রহ অনেক কমে গেছে।বই পড়ায় পাঠক সৃষ্টি করতে ব্যতিক্রমী এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।আশা করি বই পড়ায় আগ্রহী করে পাঠক তৈরিতে এ পাঠাগার গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।এর ব্যাপী ছড়িয়ে পডুক বিশ্বজুড়ে।
এদিকে ‘সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে’র প্রতিষ্ঠাতা,কবিতা ঘরের পরিচালক লেখক ও কবি গোলাম মাওলা জসিম জানান,ডিজিটাল যুগে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের কারণে নাটকীয়ভাবে তরুণ প্রজন্মের যোগাযোগের পদ্ধতি বদলে যাচ্ছে আর এসবে কারণে তারা হারাচ্ছে বই পড়ার অভ্যাস।দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে পাঠক।পাঠক বিমুখতা দূর করতে ও বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে এ পাঠাগার স্থাপন করার প্রয়াস।নরসুন্দরদের কাছে নিজেদের বাহ্যিক সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে সেলুনে যায় নানান বয়সের মানুষ।অনেক সময় বসে ঘন্টা খানেক অপেক্ষা করতে হয়। এ সময় টুকু যাতে বই পড়ে কাজে লাগাতে পারে সেই প্রয়াস।এতে পাঠক বিমুখতা দূর হবে।প্রাথমিক ভাবে তিনটি দেশে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে পর্যায়ক্রমে সারাবিশ্বে তা ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে বলে জানান তিনি।
সেলুনে এমন পাঠাগার স্থাপনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান সেলুনের মালিক বাসু এ কার্যক্রমের গুরুত্ব ধরে রাখবেন বলেও বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের, ৩০ জুন ‘সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে ‘র প্রতিষ্ঠাতা,লেখক ও কবি গোলাম মাওলা জসিমের নিজ এলাকা মাইজদীকোর্ট নোয়াখালীতে রতনের সেলুনে বই ও আলমারি বিতরণের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হয়।
Leave a Reply