নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বেশ কিছুদিন ধরে চন্দনাইশের পৌরসভা সদর সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। কোন না কোন ইউনিয়নের চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই এর অভিযোগ করছে। স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত মার্চ-এপ্রিল মাসে পশ্চিম বৌলতলী১ নং ওয়ার্ডের ইসলামের দোকান সংলগ্ন এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত আর্মি সদস্য দিদারুল আলমের টাকা ও মোবাইল ছিনতাই করে নেওয়া হয়। এ ব্যাপারে চন্দনাইশ থানায় একটি জিডি করা হয়। ৩ এপ্রিল একই গ্রামের প্রবাসী মাহবুবুর রহমানের ঘর ডাকাতি হয় ডাকাতরা নগদ টাকা স্বর্ণালঙ্কার বিদেশি দ্রব্য সামগ্রী নিয়ে যায় তার অনুমতি মুল্য ৫ লক্ষ টাকা। পরবর্তীতে ফোন করে ঐ পরিবারকে জীবননাশের হুমকি দিয়ে আসছে।৬ এপ্রিল চন্দনাইশ পৌরসভা কার্যালয়ের পিছনে নাথপাড়া গ্রামের রুপম দাস এর গোয়াল ঘর থেকে দুইটি গরু, মৃত হারাধন দাস এর গোয়াল ঘর থেকেও দুইটি গরু যার মধ্যে একটি ২/৩দিন পরে বাছুর প্রসব করত, যার আনুমানিক বাজার মূল্য তিন লক্ষ টাকা। এসব এলাকায় সন্ধ্যা হলে হরিনাথ পাড়ার জারুয়া পুকুর ও গৌর পুকুর পাড়ে চলে স্থানীয় চিহ্নিত প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় বেড়ে ওঠা চাঁদাবাজি ইয়াবা সেবীদের আড্ডা। স্থানীয় এলাকাবাসী ভদ্র সমাজ এইসব নেশাগ্রস্ত দের কাছে জিম্মি, প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় পালিত এইসব চাঁদাবাজ, নেশাগ্রস্ত দের কারনে এলাকাবাসী স্বাচ্ছন্দে চলাফেরা করতে পারে না। স্থানীয় পৌরসভা কার্যালয়ের আশাপাশে এইসব ঘটনা ঘটলেও স্থানীয় প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষ নিরব। বর্তমান এলাকাবাসী নির্ঘুম রাত কাটিয়ে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী এই সব অনিয়ম থেকে পরিত্রান চেয়ে সরকারও স্থানীয় প্রশাসনের সুদৃষ্টি ও সহযোগিতা কামনা করেন।
Leave a Reply