প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ
দেশের ৮টি বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ‘নিউরোসায়েন্স, অর্থোপেডিক, মানসিক ও স্কিন ইউনিট স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নতুন করে চারটি ইউনিট (নিউরোসায়েন্স, অর্থোপেডিক, মানসিক ও স্কিন) স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরই মাঝে এ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই (ফিজিবিলিটি স্টাডি) সম্পন্ন হয়েছে। তবে এখনো ডিপিপি প্রণয়ন হয়নি। এর মধ্যেই চট্টগ্রামে জায়গা সংকটের কথা বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম তার নিজের বাড়ী গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় প্রস্তাব করার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে এ প্রস্তাব বাতিল করে চট্টগ্রামে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষনকারী জাতীয় প্রতিষ্ঠান কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগ ও মহানগর কমিটি।
১০ অক্টোবর ২০২২ইং সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু ও সাধারন সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, দক্ষিন জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান প্রমুখ উপরোক্ত দাবি জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শুধমাত্র চট্টগ্রাম জেলার জন্য উচ্চতর চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান নয়। রেফারেন্স হাসপাতাল হিসাবে এটি এ অঞ্চলের বিশেষ করে ককসবাজার, ৩ পার্বত্য জেলা, নেয়াখালী ও ফেনী জেলার সাধারন মানুষের জন্য সর্বশেষ আশ্রয় স্থল। তাই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের উন্নয়ন মানে চট্টগ্রামের উন্নয়ন নয়। চট্টগ্রাম বিদ্বেষী কিছু মানুষের রোষানলে পড়ে, সরকারের অনেক উন্নয়ন কর্মকান্ড চট্টগ্রামে বাস্তবায়ন হচ্ছে না। তাই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জায়গা সংকটের কথা বলে অন্যত্র এবং নিজের গ্রামের বাড়ীতে এই প্রকল্প স্থানান্তরের হীন প্রচেষ্ঠা থেকে সরে আসার আহবান জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি এতদাঞ্চলের চিকিৎসা ব্যবস্থায় একমাত্র ভরসাস্থল হবার কারনে প্রতিদিন দৈনিক প্রায় ৩ হাজার রোগী ভর্তি থাকেন। হাসপাতালে অপ্রতুল শয্যা সংখ্যা হলেও রোগীরা বারান্দায় ও মেজেতে থেকে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছেন। চট্টগ্রামের জরার্জীন চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে চট্টগ্রামের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ বারবার মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রীর দৃষ্ঠি আকর্ষন করলেও আশানুরুপ অগ্রগতি হয় নি। তাই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজকে ঘিরে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বৃহত্তর চট্টগ্রামের ৫ কোটি মানুষ উপকৃত হবে। একই সাথে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারী মেডিকেল কলেজসমুহসহ অনেক শির্ক্ষাথীরাও প্রকল্প থেকে উপকৃত হতে পারবে।
Leave a Reply