নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চট্টগ্রাম কর্ণফুলীতে প্রস্তাবিত কালুরঘাট নতুন সেতু অবিলম্বে বাস্তবায়ন জাতীয় স্বার্থে জরুরি। কিন্তু রহৎস্যজনক কারণে এ সেতু নির্মাণে নিয়ে গড়িমসি ও দীর্ঘসূত্রিতা চলছে প্রায় দশ বছর যাবত। সার্বিক মূল্যস্ফীতি কারনে যেন এ জনগুরুত্বপূর্ণ সেতু প্রকল্পটি থেকে সরে না আসা হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান ব্যরিস্টার মনোয়ার হোসেন।
অনতিবিলম্ব জাতীয় স্বার্থে কালুরঘাটে নতুন সেতু নির্মাণের দবিতে চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামে উদ্যোগে নগরীর আন্দরকিল্লা চত্বরে ৯ নভেম্বর ( বুধবার ) দুপুর ২ টা হতে ৫ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত গণ-অনশনে গণ অনশন অনুষ্ঠিত হয় । গণ অনশন চলাকালে সমাবেশে চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান ব্যরিস্টার মনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের মহাসচিব মো কামাল উদ্দীনের পরিচালনায় দলমত নির্বিশেষে পেশাজীবী, রাজনৈতিক, সাংবাদিক, সামাজিক ও ক্রীড়া সংগঠনের প্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ গ্রহণে করেন।
কর্ণফুলী নদীর ওপর জরাজীর্ণ কালুরঘাট সেতুর কারণে ভোগান্তিতে লাখো মানুষ। সরকারের পক্ষ হতে নতুন করে একটি সেতু নির্মাণের কথা বলা হলেও তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত হয় কালুরঘাট সেতু। শুরুতে এটি রেল সেতু হিসেবে ব্যবহার হতো। পরে তিরিশের দশকে সেতুটি দিয়ে ট্রেনের পাশাপাশি যানবাহন চলাচল শুরু করে। এরই মধ্যে সেতুটি বয়স ৯০ বছর পার হয়ে গেছে। ভারি যানবাহন চললেই দুলে ওঠে। ট্রেন চলাচলের সময় সেতুটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। মাঝে মাঝে সেতুতে যানবাহন আটকে গেলে চরম দুরবস্থায় পড়েন সেতুর উভয় পাড়ের যাত্রীরা। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রাতে সেতুর ওপর লাইনচ্যুত হয় তেলবাহী ওয়াগন। এতে অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বিঘিœত হয়। সেতুর চরম দুরবস্থা থেকে দ্রুত মুক্তি চান বক্তরা।
ব্যরিস্টার মনোয়ার বলেন কালুরঘাট সেতুর পশ্চিম পাশ তথা শহর এলাকা থেকে বোয়ালখালী সদর গোমদণ্ডির দূরত্ব মাত্র তিন কিলোমিটার। নদীর এক পাড় থেকে অন্য পাড়ে যেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হয়। অথচ যানজট ছাড়া মাত্র ১০ মিনিটে এ ৩ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করা যায়। তাছাড়া ২০০১ সালে সেতুটিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। সেতুটিতে বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় গর্ত, যেখানে নিয়মিত বিভিন্ন যানবাহন ও ট্রাক আটকে পড়ে।
অবস্থা এত ভয়াবহ যে বিভিন্ন গর্তের মধ্য দিয়ে নদীর পানি দৃশ্যমান। ঝুঁকি মাথায় নিয়ে দৈনিক প্রায় ১ লাখের অধিক লোক বিভিন্ন যানবাহন ও কয়েকজোড়া ট্রেনে সেতু অতিক্রম করছে। বোয়ালখালী, পূর্ব পটিয়া, দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া, শহরের চান্দগাঁও ও মোহরা এলাকার প্রায় ২০ লাখ মানুষ এই সেতুর ওপর নির্ভরশীল।
বক্তব্য রাখেন বোয়ালখালী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো সেলিম, নাগরিক ফোরামের ভাইস চেয়ারম্যান শিল্পী শাহরীয়ার খালেদ, কাজী গোলাফ রহমান, কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল মোমিন, কালের কন্ঠের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান মুস্তফা নঈম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমেদ, ১৪ দলীয় মহাজোট নেতা ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি(ন্যাপ)’র মিটুল দাশগুপ্ত, নাগরিক ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শেখ জাহেদ , অধক্ষ্য ফরিদ আহমদ, দক্ষিণ জেলা যুব ইউনিয়নের সভাপতি মিলন বড়ুয়া, বন্দর শ্রমিক নেতা মো ফোরকান, এডভোকেট মাসুদুল আলম বাবলু, গ্রেটার চট্টগ্রাম ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মির্জা ইমতিয়াজ শাওন, যুবনেতা সাজ্জাদ, সংগঠক নোমানুল্লাহ বাহার, বোয়ালখালী প্রেস ক্লাব এর নির্বাহী সদস্য আলমগীর রানা প্রমুখ ।
Leave a Reply