চট্টগ্রামের পটিয়ায় ইউপি নির্বাচন পরবর্তী ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে মোহাম্মদ সোহেল (৩৬) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহত সোহেল উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের ছোট ভাই এবং কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমানের ভাগ্নে।
এই ঘটনায় আরও তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন মো. সাজ্জাদ (২০), সাদ্দাম হোসেন (৩০), এবং জয়নাল আবেদীন (৩৪)। তারা সবাই একই এলাকার বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (২২ এপ্রিল ) রাত ১০টার দিকে উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের বুধপুরা বাজার এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।
নিহত সোহেল বুধপুরা এলাকার মৃত এজহার মিয়ার ছোট ছেলে। তার দুই সন্তান রয়েছে। সোহেল কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা এলাকার ফসিল গ্যাস পাম্পের ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে ছিলেন।
নিহত সোহেলের বড় ভাই আবুল কাশেম ষষ্ঠবারের মতো কাশিয়াইশ ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে বুধপুরা বাজার জামে মসজিদে তারাবির নামাজ শেষে চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের সাথে স্থানীয় শরিফের বাকবিতণ্ডা হয়। এরপর সোহেল গিয়ে প্রতিবাদ করাতে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। তাকে রক্ষা করতে যাওয়া আরো কয়েকজনকেও এসময় ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানান, সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনের জের ধরে বর্তমান আওয়ামীলীগের সমর্থিত ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের ছোট ভাই মুহাম্মদ সোহেলকে শরিফ নামক এক ঘাতক ছুরিকাঘাত ও মারধর করলে আহত অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডাক্তাররা সোহেলকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি তিনজনকে ২৫ নং সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
ওসি জানান, বর্তমানে এলাকায় পুলিশ টহল রয়েছে। ঘাতককে গ্রেপ্তার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে পাঁচলাইশ থানার ওসি (তদন্ত) সাদেকুর রহমান জানান, রাত ১০ টা ৫০ মিনিটে পটিয়ার বুধপুরা এলাকা থেকে ছুরিকাহত ৪ জনকে চমেক হাসপাতালে আনলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোহেলকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি ৩ জন ২৫ নম্বর সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
Leave a Reply