বিতর্কচর্চার মাধ্যমে যুক্তিবাদী, সৃজনশীল ও মেধাবী নেতৃত্ব তৈরি হয়। যার মাধ্যমে সুষ্ঠু ও মেধাবী সমাজ নির্মাণ সম্ভব। প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমির আয়োজিত এক মাসব্যাপী বিতর্ক কর্মশালার সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন পটিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশীদ। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, পড়ালেখার পাশাপাশি শিক্ষা সহায়ক কার্যক্রম হিসেবে বিতর্কচর্চা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যার মাধ্যমে মেধার সঠিক বিকাশ ঘটে। ছাত্র ছাত্রীদের মুক্তি যুদ্ধের চেতনা ধারণ করে দেশ গড়ার জন্য যুক্তিবাদী হওয়ার সময়ের দাবী।
গতকাল ২ সেপ্টেম্বর প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমির মিলনায়তনে আয়োজিত বিতর্ক কর্মশালার ৮ম ব্যাচের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন একাডেমির নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ ফারুক রবি। একাডেমির সদস্য সুকান্ত দাশ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন দৃষ্টি চট্টগ্রামের সভাপতি সাইফ চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী আরফাত। বক্তব্য রাখেন একাডেমির সমন্বয়ক এমরান হোসেন রাসেল, সিনিয়র সদস্য শিবু মল্লিক। দৃষ্টি চট্টগ্রামের সভাপতি সাইফ চৌধুরী বলেন, অন্যের দৃষ্টিভঙ্গি জানা ও সম্মান করা বিতর্কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক। বর্তমান সময়ে মানুষ একে অন্যের মতামতকে সম্মান করতে ভুলে যাচ্ছে, যেকোন উপায়ে নিজের মতামতকে চাপিয়ে দেয়ার প্রবণতা সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু বিতার্কিকরা প্রতিপক্ষের যুক্তি শুনে, চিন্তা করে দেখে। ভালো মন্দ উপলব্ধি করে সামনে এগিয়ে যায়। প্রত্যয়ের নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ ফারুক রবি বলেন, প্রত্যয় দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে পটিয়াতে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এই পর্যন্ত ৮টি বিতর্ক কর্মশালায় প্রায় ৪৭০ ছাত্র ছাত্রী অংশগ্রহণ করেছে। এক মাসব্যাপী বিতর্ক কর্মশালায় পটিয়ার ৮টি স্কুলের ৩২ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অতিথিরা সবাইকে সনদপত্র তুলে দেন।
Leave a Reply