1. news@dainikchattogramerkhabor.com : Admin Admin : Admin Admin
  2. info@dainikchattogramerkhabor.com : admin :
সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:১০ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
বাংলাদেশের “৬৪ জেলার নির্বাচিত নারী উদ্যোক্তা -৪” যৌথ গল্পগ্রন্থে “সেরা গল্প লেখিকা ২০২৫” হলেন যাঁরা কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে ৫,৫০০ তালচারা রোপণ কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন ইতালি যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আতিকুর রহমান সহ-সাংগঠনিক পদে মনোনিত সিলেট থেকে চট্টগ্রামের ৫৭ মামলার পলাতক আসামি রুহুল আমিন গ্রেপ্তার ! পরিবেশ সুরক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধিতে রহমান আদর্শ শিক্ষালয়ে স্কুল টিমের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বিশ্বসাদা ছড়ি নিরাপত্তা দিবস উৎযাপন উপলক্ষ্যে রোটারি চট্টগ্রাম এরিয়ার ক্লাব সমূহের যৌথ প্রকল্প বাংলাদেশ ইয়ুথ ক্যাডেট ফোরামের (বিওয়াইসিএফ) ৩য় কেন্দ্রীয় দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন: নতুন কমিটি ঘোষণা সীতাকুণ্ডে রেললাইন হতে অজ্ঞাত মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার চট্টগ্রামে তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে মুখর ‘সিএমপি কমিশনার কাপ কারাতে প্রতিযোগিতা–২০২৫’ আসুন স্বেচ্ছায় রক্ত ও চক্ষু দানকে উৎসাহিত করি – লায়ন মোঃ আবু ছালেহ্

বিনা দোষে কয়েদ খেটে চলেছে জনগণ- আফজাল হোসেন

  • সময় বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ২৯৭ পঠিত

বিশিষ্ট নাট্যকার ও অভিনেতা আফজাল হোসেন তাঁর ফেইসবুকে একটি পোস্ট করেছেন যা পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো।

বিনা দোষে কয়েদ খেটে চলেছে জনগণ। সেই কবে থেকে। একাত্তরে রক্ত অশ্রুর বিনিময়ে দেশটা স্বাধীন হলো। দেশবাসী খুশিতে কেঁদে ফেলে- পেয়েছি প্রাণের দেশ। দিন যায়- খুশির কাঁন্দন আপনাআপনিই শুকিয়ে যায় আপন আপন গালে।

নিজের দেশ হয়েছে ভেবেছিলো যারা, তারা পদে পদে হোঁচট খেয়ে বুঝতে পারে, দেশটা নিজের বলে ভেবেছিলো কিন্তু নিজের হয়নি। অনেক বছর ধরে জনগণ বা দেশবাসী দেখেছে, বুঝেছে। দেশবাসী চাইলেই দেশ নিজের হয়ে যায়না।

দেশবাসী বারবার দেখেছে, দেশ তাঁদের- এটা শুধু মুখের কথা, কেবলই মুখে মুখে মালিকানা। স্বান্তনা পুরস্কারের মতো। দেশকে পুরস্কার হিসাবে অন্যেরা নিয়ে নেয়। অন্যরা মানে দলের নামে বিভিন্ন গোষ্ঠী। দেশ দলের হয়ে যায়, হয়ে যায় যে যখন সিংহাসনের দখল পায়- তাদের আর দলীয় কর্মীদের।

কেউই কখনও দেশকে দেশের প্রকৃত মালিক জনগণের হতে দেয়নি। একদল চোখ কান বুঁজে জীবনেও নামবেনা ভেবে সিংহাসনে গ্যাট হয়ে বসে থেকেছে- অন্যেরা ক্রমাগত ঠ্যালা গুঁতো মেরেই চলেছে- নামরে তোরা, আর কতদিন!

একেকটা দল বা গোষ্ঠী দেশটাকে নিজের করে পেতে জনগণ, দেশবাসীর দোহাই দিয়ে গেছে চিরকাল। জনগণের দেশ জনগণের হাতে আমরাই ফিরিয়ে দেবো বলেছে- তা কথার কথা হয়েই থেকেছে শেষ পর্যন্ত।

দেশবাসী বা জনগণ একবার নয় বহুবার দেখেছে- যখন সময় বদলে গেছে, একদল নেমেছে, আর একদল জনগণের জয় হয়েছে বলে চড়ে বসেছে সিংহাসনে। নতুন মালিক এসে শাসন শুরু করেছে পুরাতনদের জেলে পাঠিয়ে।

দেশবাসী ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে দ্যাখে একদল চোখ মুছতে মুছতে জেলে গেলো। তারপর ফিরলো একদিন। তারা ফেরে হাসতে হাসতে বীরের বেশে। ততদিনে ক্ষমতায় থাকাদের নাট বল্টু ঢিলা হয়ে গেছে। জেলে যাওয়ারা ফিরে এসে হালুম হুলুম করে- সর তোর, জনগণের দেশ জনগণের হাতে ফেরৎ দিতে এসেছি। সিংহাসন উল্টে গেলে হাজারটা কারণে পুরাতনদের যেতে হয় জেলে, জেলখানায়।

এই সিংহাসন টু জেলখানা, জেলখানা টু সিংহাসন চলছে পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে। দেশের এই মহাজনদের জেলখাটা বোধহয় খুব কষ্টের হয়না, কারণ জেলযাপন শেষ হলে কপালে আবার ফিরে আসবে সিংহাসন- এই মূলাখানা নাকের ডগায় ঝুলতে থাকে।

এ আমল যায়, সে আমল আসে- আমলের মানুষ যারা, তারাই দেশের মালিকানা পায়। দেশ পাওয়ার আনন্দ ভোগ করতে পারে। কোনও দলের না হওয়া জনগণের কাছে সারাজীবন দেশটা কারাগার, জেলখানা হয়েই থাকে। আমল থেকে আমলে তাদের জেলখাটা চলে- চলছেই। মুক্তি নেই তাদের। মুক্তি মেলেনা।জেনেছে, সিংহাসন, দেশ কোনোদিনই তাদের হওয়ার নয়। এই যাবজ্জীবন কয়েদবাস সবচেয়ে মর্মান্তিক।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
কপিরাইট © ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট